বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর জনপ্রিয় ৭ টি কাজ

বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর জনপ্রিয় ৭ টি কাজ

আসসালামু আলাইকুম, ফ্রেন্ড’স আইটি পয়েন্ট (FriendsITpoint) এর পক্ষ থেকে সুস্বাগতম জানাচ্ছি অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী আপনি ও আপনার পরিচিত যাদেরকে আমাদের ব্লগের কথা জানাতে চান ,আপনিসহ তাদের সবাইকে।

সঠিক দিক নির্দেশনা সফলতার পথে মানুষকে একধাপ এগিয়ে রাখে সবসময়, এতে করে সময়ের অপচয় হবার সম্ভাবনা কম থাকে, ভুল কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সর্বোপরি সফল হতে সহায়ক হয় বেশি।

অনলাইনে ইনকামের কথা ভেবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে গিয়ে অনেকেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পরেন, এই সমস্যা থেকে উত্তরনের সঠিক পথ না জানার কারনে অনেকে ঝরে পরেন। যারা একেবারেই শুরুর দিকে তাদের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে তারা কি দিয়ে শুরু করবে সেটা নির্বাচন করতেই ভুল করে ফেলে।

তেমনি একটা সমস্যা হলো অনলাইন ইনকাম বা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্বে একটি নির্দিষ্ট বিষয় নির্বাচন করা, এবং সেই বিষয় ধরে সামনের দিকে আগানো। আর এই বিষয় নির্বাচন করতে গিয়ে নতুনরা হয় ভুল করে, না হয় দ্বীধাদ্বন্দে ভুগে। আর সেই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে  আমরা সামান্য অবদান রাখতে আগ্রহী এবং তাই এই লেখাতে আলোচনা করব অনলাইন ইনকাম বা ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বর্তমান সময়ের ৭ টি জনপ্রিয় বিষয়, যা আপনাকে আপনার পছন্দের ও আপনার জন্য উপযুক্ত বিষয় নির্বাচন করতে সহায়তা করবে।

এর আগে আমরা  ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার এই লেখাতে আলোচনা করেছিলাম ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার জন্য কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে, সেই পদক্ষেপ এরই একটি অংশ হলো বিষয় নির্বাচন, আপনারা যারা পূর্বের লেখাটি পড়েন নাই এই লেখা পড়ার পূর্বে আগের লেখাটি পড়তে পারেন তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে এবং আপনার উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি।

ঘরে বসে অথবা যেকোনো জায়গায় থেকে কম্পিউটার অথবা কোনো ডিজিটাল যন্ত্র যেমন মোবাইল, ল্যপটপ, ট্যাবলেট ইত্যাদি ব্যবহার করে ইন্টারনেট কানেকশন এর সহায়তায়, নিজের স্কিল দিয়ে দেশ, বিদেশের বিভিন্ন কাজ করে ইনকাম করাকে আমরা সাধারনত অনলাইন ইনকাম বলে থাকি।

অনলাইন ইনকাম বা ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ৭ টি বিষয়

  • আর্টিকেল রাইটিং (Article Writing)
  • ব্লগিং (Blogging)
  • ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design)
  • ওয়েব ডিজাইন (Web UI/UX Design)
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web Development)
  • এপ্স ডেভেলপমেন্ট (Android Apps Development)

১। আর্টিকেল রাইটিং (Article Writing) এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম

 অনলাইন ইনকাম এর একটি অন্যতম মাধ্যম

আর্টিকেল রাইটিং বা কন্টেন্ট রাইটিং আপনার জন্য হতে পারে একটি সম্ভাবণাময়  ও সন্মানজনক পেশার মাধ্যম। অনলাইন ইনকাম এর জন্য দারুণ একটি উপায় এবং প্রচুর সম্ভাবনাময়। বলা হয়ে থাকে যে আগামীর বিশ্ব কন্টেন্ট এর বিশ্ব, যার কন্টেন্ট যত বেশি সে তত এগিয়ে। বর্তমানে সারাবিশ্বের আনাচে কানাচে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আর্টিকেল এর জন্য সন্মানজনক পারিশ্রমিক প্রদান করে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি আপনার লেখাগুলো ছড়িয়ে দিয়ে আয় করতে পারেন অনেক।

আপনার লেখা পেজভিউ এর উপর আপনাকে দেওয়া হবে পারিশ্রমিক। আপনার যদি নিজস্ব ব্লগ থাকে তাহলে সেটার জন্য আর্টিকেল লিখেও ভালো পরিমান আয় করতে পারেন গুগল অ্যাডসেন্স থেকে। ব্লগ আর্টিকেল ছাড়াও সার্ভিসের সেলস পেজ, প্রডাক্টের রিভিঊ, প্রতিষ্ঠানের জন্য বই, লিফলেট, ব্রশিউর, বা অন্যান্য প্রচারনার কাজে লেখকদের আর্টিকেল প্রয়োজন হয়ে থাকে।

অনলাইন ভিত্তিক জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসগুলো রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন আর্টিকেল রাইটার এর খোজে বিজ্ঞাপন দেয় ক্লাইন্টগুলো। এক কথায় বলা যায় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস গুলোতে আর্টিকেল বা কন্টেন্ট রাইটিং এর হাজারো প্রজেক্ট রয়েছে।

তার মানে বুঝা যাচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং এর ভেলু আছে এবং আগামীতে এর ভেলু আরো বাড়তেছে দিন দিন, একটি সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার এর হাতছানি।

আর্টিকেল রাইটিং বা কন্টেন্ট রাইটিং কাদের জন্য? 

  • যারা লেখালেখিতে পারদর্শী।
  • যারা লিখতে ভালবাসে।
  • ইংরেজী ভালো জানে তাদের জন্য আর্টিকেল লেখার কাজের অভাব নাই।
  • তবে হ্যা, ইংরেজী ছাড়াও বাংলা ভাষাতে আর্টিকেল লিখেও আপনি শুরু করতে পারেন আপনার কন্টেন্ট রাইটিং ক্যারিয়ার।
  • যেকোনো ধরনের সাধারন আর্টিকেল লেখা একটু বেশিই সহ্‌ যে কেউ পারবে। কিন্তু সাজিয়ে গুছিয়ে একটা মানসম্মত আর্টিকেল লেখা একটা শিল্পের মত, সুতরাং আপনাকে একটা ভালো মানে লেখা লিখতে শিল্পী হতে হবে।
  • প্রচুর পড়ালেখা করতে হবে, অন্যের লেখা পড়তে হবে, নিজস্বতা তৈরী করতে হবে, আপনার ধৈর্য্য থাকতে হবে সেই লেভেলের, ইংরেজী লেখা পড়তে ও বুঝতে পারতে হবে তাহলে আপনার জন্য এটা সহজ হবে।
  • তাহলে আপনিও পারবেন আর্টিকেল রাইটার হতে। 

কি লিখবেন আপনি অথবা কি লিখতে হয়? 

লেখা শুরুর আগে যদি আপনি টপিক সিলেক্ট করতে না পারেন তাহলে তো আর লেখাই হবে না তাই না? সে জন্য আপনি যে বিষয় পছন্দ করেন সেই বিষয়ে লিখবেন, আর্টিকেল রাইটিং বা কন্টেন্ট রাইটিং এর ব্যাপারে গুগল সার্চ করলেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার প্রয়োজনীয় উত্তর, সেখান থেকে আপনার পছন্দের একটা টপিক বেছে নিয়ে সেই ব্যাপারে বিস্তারিত পড়াশোনা করুন এরপর লেগে পড়ুন আপনার কাজে।

নোটঃ আর্টিকেল রাইটিং করে ইনকাম হয় না কিংবা হবে না এই ধরনের চিন্তা করার কোনো অবকাশ নাই, শুধু আপনার নিয়মিত চেষ্টা আর লেগে থাকার ধৈর্য্যই আপনাকে এগিয়ে নিবে। কিভাবে কাজ পাবেন, কিভাবে জমা দিবেন সে নিয়ে দুঃশ্চিন্তা নয়, ওইগুলা এমনিতেই জেনে যাবেন।

২। ব্লগিং (Blogging) এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম

blogging

যদিও ব্লগিং আর্টিকেল রাইটিং (Article Writing) এর মধ্যেই পড়ে, কেননা ব্লগিং এর একটা অংশ আর্টিকেল রাইটিং (Article Writing) এর জন্য বরাদ্দ, তবুও এর একটা বড় ধরনের আলাদা সেক্টর আছে যা থেকে প্যাসিভ ইনকাম এর রাস্তা তৈরি করা সহজ হয়।

জানা-অজানা বিভিন্ন বিষয় এবং সামপ্রতিক বিষয় নিয়ে লেখালেখি করা, কোনো জটিল বিষয় নতুন ও সহজভাবে উপস্থাপন করা, কিংবা নিজের মতামত প্রকাশের একটি মাধ্যম হলো ব্লগিং।

ব্লগিং শুরু করতে কি কি লাগে? 

  • একটি ডিজিটাল ডিভাইস, যেমনঃ কম্পিউটার, ট্যাব অথবা একটি স্মার্টফোন।
  • ইন্টারনেট কানেকশন
  • বাংলায় অথবা ইংরেজীতে লেখালেখির দক্ষতা
  • ইন্টারনেট এর ব্যাসিক জিনিসগুলো সম্পর্কে জানা, যেমন কিভাবে একাউন্ট করতে হয়, কিভাবে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইনস্টল ও ব্যবহার করতে হয়।

আসলে এইগুলা কঠিন কিছু না, একটা কম্পিউটার আর ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে বাকি সব বিষয় আপনার জন্য সহজ হবে, ইনশাল্লাহ।

ব্লগ লিখে আয় করবেন গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে। ধরুন আপনি যেকোনো একটি বিষয় এর উপর লিখেছেন, এখন কোনো একজন ব্যাবহারকারী গুগলে আপনার টপিক টি লিখে সার্চ করল এবং আপনার লেখাটি প্রথমে চলে আসলো, তাহলে ভিজিটর আপনার লেখাটি সম্পূর্ন পড়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে । তাহলে এবার আপনি একটি ভিজিটর পেলেন, এভাবে আপনার ভিজিটর বাড়তে থাকবে।

তার মানে হলো আপনার যত বেশি লেখালেখি থাকবে তত বেশি ভিজিটর পাবেন, ভিজিটর কে গুগল তাদের এড দেখিয়ে আপনাকে টাকা দিবে। আপনার লেখা থেকে আপনার রেভিনিউ আসতে থাকবে।

ব্যাপারটা বলতে সহজ হলেও এর সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক কিছুই আছে, যেটা সম্পূর্ন করতে হলে আপনার অনেক পরিশ্রম করতে হবে।

আমি এ ব্যাপারে সামান্য কিছু স্টেপ বলতেছি, আপনি যদি লেখালেখিতে পারদর্শি হয়ে থাকেন আর যদি আপনার সেই পরিমান আগ্রহ থাকে তাহলে বাকিটা গুগল সার্চ করে জেনে নিতে পারেন।

ব্লগিং করে অনলাইন ইনকাম করতে হলে যেসব স্টেপ অতিক্রম করতে হবেঃ 

  • একটি ওয়েবসাইট লাগবে।
  • ওয়েবসাইট এর জন্য ডোমেইন হোস্টিং লাগবে।
  • ব্লগ অথবা ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে।
  • কন্টেন্ট লেখা, পাবলিশ করা, এবং মার্কেটিং এর কাজ ও করতে হবে।
  • ভিজিটর বৃদ্ধি করতে হবে, এর জন্য অনেক ধাপ আছে সেইগুলা আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ শিখতে হবে।
  • পরিশেষে আপনার ব্লগে স্পনসরশিপ যুক্ত করতে হবে, এডসেন্স ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের স্পন্সর রয়েছে।

গুগল এডসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে পূর্বে প্রকাশিত গুগল অ্যাডসেন্স থেকে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায় লেখাটি পড়তে পারেন।

৩। ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম

 অনলাইন ইনকাম এর একটি জনপ্রীয় মাধ্যম

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট না ব্যাবহারকারীর সংখ্যা গ্রামের হাতে গোনা অল্প কিছু লোক, এছাড়া প্রায় সবাই ইন্টারনেট ব্যাবহার এর সাথে সংযুক্ত, গ্রামের যুবক,যুবতী এবং মধ্যবয়সী ধরনের মানুষ থেকে শুরু করে শহরের বাচ্চারা সহ সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করে।

আর এই ইন্টারনেট ব্যবহার কে পুজি করে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্টানগুলো অথবা যেকোনো ধরনের প্রতিষ্টান বা ব্যক্তি তাদের প্রচারনার কাজে ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে। আর এই ডিজিটাল মাধ্যমের দ্বারা যে মার্কেটিং বা প্রচারনা করা হয় সেটাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে বলা যায় ফেসবুকে অথবা ইউটিউবে আপনি যে বিভিন্ন ধরনের এড দেখেন সেটাই একটা ডিজিটাল মার্কেটিং এর অংশ।

বলা হয়ে থাকে যতদিন ইন্টারনেট থাকবে ততদিন ডিজিটাল মার্কেটিং থাকবে এবং দিন দিন এর চাহিদা এবং ভেলু বৃদ্ধি পাবে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং হবে আপনার স্বপ্নের ক্যারিয়ার গড়ার একটি অন্যতম মাধ্যম।

ডিজিটাল মার্কেটিং এ কি কি কাজ করতে হয়?

ডিজিটাল মার্কেটিং এ কাজের ক্ষেত্র গুলো অনেক, এই লেখার মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করলে অনেক বেশি হয়ে যাবে, তাই আমরা এখানে শুধু কাজগুলো উল্ল্যেখ্য করব এবং পরবর্তীতে প্রতিটি কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব, এর আগেই আপনি গুগল সার্চ করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

  • এস ই ও (SEO – Search Engine Optimization)
  • এস ই এম (SEM – Search Engine Marketing)
  • সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM – Social Media Marketing)
  • ইমেইল মার্কেটিং(Email Marketing)
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং(Content Marketing)
  • ভিডিও মার্কেটিং(Vidoe Marketing)
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং(Affiliate Marketing)
  • এস ই ও
    • বর্তমান ডিজিটাল কন্টেস্ট এর বাজারে মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে এবং আগামীতেও করবে। এসইও মূলত আপনার ওয়েবসাইটিকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন যেমন, গুগল, বিং, ইয়াহু অথবা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে প্রদর্শন করে থাকে সার্চ রেজাল্ট এবং আপনার কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন এর উপর নির্ভর করে। পৃথিবীর সব ওয়েবসাইট এর এসইও সার্ভিস টি দরকার আছে। আপনি এসইও এর কাজ শিখে এই ধরনের সার্ভিস গুলো দিতে পারেন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের লোকজনকে। এর বাজার বিশ্বব্যাপী।
  • এস ই এম
    • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং একটি মার্কেটিং কৌশল যার মাধ্যমে আপনার ব্যবসা ট্রাফিক, এবং সেল বেশি হয়। সেটা সাধারনত Paid সার্চ মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। আপনি যদি একজন অনলাইন মার্কেটার হতে চান তাহলে অবশই সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং সম্পর্কে দক্ষ এবং সুষ্পষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। এতে আপনার সুবিধা হলো আপনি সহজেই  সম্পূর্ণ সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর সুবিধাগুলো গ্রহন করতে পারবেন। আপনি এস ই এম শিখে আয় করতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত ক্লাইন্ট কে এস ই এম সার্ভিস দিয়ে।
  • সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ
    • সোস্যাল মিডিয়া বর্তমানে মার্কেটিং এর অন্যতম একটি মাধ্যম। সোস্যাল মিডিয়াতে সব ধরনের পন্যের প্রচারনা করে পরিচিতি পাওয়া যায়। সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য অনেক সময় ও অনেক গুরুত্বপূর্ন জিনিস শিখতে হয়, যা একজন ব্যস্ত ও সাধারন মানুষের পক্ষে মেইনটেইন করা সহজ ব্যাপার নয়। আপনি সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখে এই সার্ভিস টি প্রদান করতে পারেন আপনার আশেপাশের ব্যাবসায়ীকে অথবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্লাইন্টদের এই সার্ভিসটি দিতে পারেন এবং আপনার কাঙ্ক্ষিত অনলাইন ইনকাম শুরু করতে পারেন।
  • ইমেইল মার্কেটিংঃ
    • প্রায় সব ধরনের অফিসিয়াল যোগাযোগ ইমেইল এর মাধ্যমে হয়ে থাকে, এবং ইমেইল এর ব্যবহার ও অনেক বেশি। এই জন্য ইমেইল মার্কেটিং একটি খুবই জনপ্রিয় মার্কেটিং কৌশল যা শিখে আপনি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কাজ করতে পারেন দেশে বিদেশে অথবা অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে।
  • কন্টেন্ট মার্কেটিংঃ
    • কোন একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ব্লগ, ভিডিও চিত্র বা পিকচার এর মাধ্যমে সেই বিষয় বা বস্তুর বর্ণনা করে তা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করাই হলো কনটেন্ট মার্কেটিং। এক কথায় আমরা বলতে পারি বিভিন্ন পণ্যের ডিজিটাল প্রচারনা হলো কন্টেন্ট মার্কেটিং, আবার ডিজিটাল বিজ্ঞাপনকেও কনটেন্ট মার্কেটিং বলা যায়। যেহেতু মার্কেটিং এর পূর্ব শর্ত হলো ভালো মানের কন্টেন্ট, তাই আপনি কন্টেন্ট মার্কেটিং এর কাজ গুলো আয়ত্ব করতে পারলে ভালো সার্ভিস সেল করতে পারবেন বলে আশা করা যায়।
  • ভিডিও মার্কেটিংঃ 
    • ইদানীংকালে দেখা যায় লিখিত ব্লগ এর চেয়ে ভিডিওতে মানুষ বেশি নজর দেয়, এর মানে হলো ভিডিও তে বেশি পরিমান ভিজিটর, দর্শক, শ্রোতা যাই বলেন, সেটা পাওয়া যায়। তাই বর্তমান সময়ে ভিডিও মার্কেটিং একটি খুবই জনপ্রিয় এবং কার্যকরী মার্কেটিং মাধ্যম। আপনি ভিডিও মার্কেটিং এর কাজ শিখে নিজের ভিডিও মার্কেটিং করতে পারেন অথবা অন্য কাউকে সার্ভিস দিয়ে ইনকামের রাস্তা তৈরি করতে পারেন।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ
    • যখন আপনি অন্য কারও প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস প্রমোশনের কাজ করবেন। এটা হবে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিল ব্যবহার করে এবং এর ফলে আপনি বিক্রিত পন্যের কমিশন পাবেন। আর এই যে কমিশন পাওয়া, সেটাকেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। এফিলিয়েট মার্কেটিং এ তারাই সফল হবে যারা ধৈর্য সহকারে লেগে থেকে দিনরাত পরিশ্রম করে শুরুতেই লাভের কথা চিন্তা না করে কাজ করে যেতে পারবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং লেখাটি পড়তে পারেন, আশা করছি স্পষ্ট ধারনা পাবেন।

এছাড়াও রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন খাত। উপরিক্ত প্রতিটি বিষয় একটি আরেকটির সাথে জড়িত। এর যেকোনো একটা শেখা শুরু হলে আপনি আসতে আসতে আগাতে থাকবেন।

৪। গ্রাফিক্স ডিজাইন(Graphic Design) এর  মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম

graphics design

ডিজিটাল মার্কেটিং বলেন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট আর ওয়েব ডিজাইন বলেন সব ক্ষেত্রেই কাজ করতে গেলে আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা প্রতিটি ক্ষেত্রে বিদ্যমান, যেকোনো ধরনের ডিজিটাল কন্টেন্ট এর জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজ।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?

গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি আর্ট বা শৈল্পিক কর্মকান্ড। এখানে একজন মানুষ তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে তৈরী করে নিত্য নতুন সব নকশা। কম্পিউটার সফটওয়্যার এর দ্বারা একজন শিল্পি তার কল্পনা, কিছু নির্দিষ্ট তথ্য এবং মানুষের চিন্তা গুলির সাথে যোগাযোগ করার জন্য, কিছু দৃশ্যমান পিকচার তৈরি করে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে কম্পিউটার সফটওয়্যার এর মাধ্যমে চিত্র দ্বারা নকশা তৈরী করাকেই গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়। গুগল সার্চ করলে আরো বিভিন্ন ভালো ভালো সংজ্ঞা পাবেন, তাই অতিরিক্ত কথা না বাড়িয়ে কাজের কথায় আসি।

কাদের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া ভালো হবে?

  • অনলাইন ইনকাম বলেন আর যা ইনকামই বলেন না কেন, ঐ আগের কথাই, যাদের অনেক ধৈর্য্য আছে, যারা ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটার এর সামনে বসে থেকে বিভিন্ন বিষয় রিসার্চ করতে আগ্রহী।
  • যাদের মাথায় সবসময় বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ চিন্তা ভাবনা আসে।
  • যারা আকাআকিতে পারদর্শী।
  • একটি জিনিস দেখে সেটাকে বিভিন্ন সাইড থেকে চিন্তা করতে পারে।
  • নতুন জিনিস অথবা নতুন কিছু তৈরী করতে মজা লাগে।
  • আকাআকি যদি আপনার বেশ ভালো লাগে তাহলে আপনি সেই প্রতিভাকে কাজে লাগাতে পারেন। কম্পিউটার এর কয়েকটি সফটওয়্যার এর কাজ ভালো ভাবে শিখে আপনার শিল্পি মনকে আনন্দ দিতে পারেন এবং উপার্জন ও করতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কি কি যোগ্যতা লাগে?

বলা হয়ে থাকে যোগ্য লোকের কাজের অভাব হয় না, কথা খুবই সত্য। আপনার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার উপর আপনার ইনকাম নির্ভর করে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে আপনার যেসব যোগ্যতা লাগবে তার মধ্যে অন্যতম হলো কম্পিউটার চালানোর দক্ষতা।

  • প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির মধ্যে আপনার একটি ভালো কনফিগারেশন এর কম্পিউটার দরকার।
  • কম্পিউটার চালানোর দক্ষতা, তবে শুরু করলে যখন ঠেলায় পরবেন তখন আপনি নিজে থেকেই দক্ষ হয়ে উঠবেন, তাই এটা নিয়ে চিন্তা না করে প্রচুর মনোবল নিয়ে অন্য বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিতে হবে বেশি।
  •  আপনাকে শিখতে হবে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যার এর কাজ গুলো।
  • বর্তমানে প্রায় সব ধরনের রিসোর্স বাংলাতে পাওয়া যায় তাই অনলাইনে খোজাখুজি করে কোনো জিনিস জেনে নেওয়ার যোগ্যতা ও আপনার থাকতে হবে।

তবে চিন্তার কিছু নাই এসব বিষয় আপনি সহজেই আয়ত্ব করতে পারবেন, আপনি যদি একটু চালাক চতুর হোন, এবং চারিদিকে নজর রাখেন।

কিভাবে একজন সফল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হবেন তার বিস্তারিত বলা আছে এই লেখায়।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের বর্তমান চাহিদা, ভবিষ্যৎ, এবং ইনকাম কেমন? 

প্রতিটি ব্যবসা বর্তমানে অনলাইনে একটিভিটি বাড়ানোর চেষ্টা করতেছে, আর অনলাইনে এক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন গ্রাফিক্স দরকার হয়। তাই যত দিন যাচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদাও কমছে না বরং বাড়ছে। এ থেকে অনুমান করা যায় আগামীতে এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড এর জন্য গ্রাফিক্স এর কাজের প্রয়োজন আরো বাড়বে এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজন ও থাকবে।

ব্যবসা অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসার ফলে সব ধরনের ব্যবস্যারই এখন লোগো,ব্যানার, পোষ্টার, ডিজিটাল কার্ড ইত্যাদি প্রয়োজন। আর এই ধরনের সব কাজই গ্রাফিক্স ডিজাইনের অন্তর্গত।

ইনকামের কথা বলতে গেলে বলতে হয় যে অভিজ্ঞতার উপর আপনার ইনকাম। আপনি কি পরিমান ভালো এবং কোয়ালিটি কাজ প্রভাইড করেন সেটার উপর নির্ভর করে আপনার আয়। আয় নির্ভর করে আপনার ক্রিয়েটিভিটির উপরেও।

একজন ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারলে আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আপনি জয়েন করতে পারেন ভালো মানের দেশি অথবা বিদেশি এজেন্সিতে। যেখানে আপনার বেতন হবে আপনার চাহিদা মাফিক কিংবা আরো বেশি।

একজন ভালো মানের অভিজ্ঞ ডিজাইনার এর বেতন কিংবা মাসিক ইনকাম ৫০ হাজার এর উপরে। আর কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা হলে আপনি যদি বাইরের কোনো কোম্পানির সাথে কাজ করেন তাহলে এই আয়ের পরিমান দ্বিগুন এর ও বেশি।

তাই বলা যায় কাজ শিখুন আপনার ইনকাম বা অনলাইন ইনকাম নিয়ে চিন্তা করতে হবে না খুব বেশি।

৫। ওয়েব ডিজাইন(Web Design) এর  মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম

ক্রিয়েটিভ লোকদের জন্য অনলাইন ইনকামের একটি সহজ মাধ্যম

সোস্যাল মিডিয়ার একটু স্ক্রল করলেই দেখা যায় ওয়েব ডিজাইন শিখে, ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন হাজার ডলার। আসলে বর্তমান সময়ের কাজগুলোর মধ্যে আমাদের দেশে ওয়েব ডিজাইন এর নাম অনেক অনেক বেশি শুনা যায়। অনেকে মনে করে ফ্রিল্যান্সিং মানে ওয়েব ডিজাইন।

আবার অনেকে ওয়েবে ডিজাইন আর ডেভেলপমেন্ট গুলিয়ে এক করে ফেলে। যদিও ওয়েব ডিজাইন আর ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যে অনেক পার্থ্যক্য। ওয়েব ডিজাইন ও ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যে পার্থ্যক্য আলোচনা করা হয়েছে পূর্বেই, আপনারা চাইলেই জেনে নিতে পারেন এই ব্যাপারে।

আসলেই আপনি ওয়েব ডিজাইন শিখে আয় করতে পারবেন, কিন্তু বেশি লোভে পরে অল্প সময়ে কোনো কিছু করতে পারবেন না, এ কথাই সত্য।

ওয়েব ডিজাইনিং এ কি ধরনের কাজ করতে হয়?

  • প্রতিটি ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর পূর্বে একজন ডিজাইনার একটি ওয়েব সাইট এর ডিজাইন করবে কাস্টমার এর চাহিদা অনুযায়ী।
  • কম্পিউটার এর বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনিং টুলস যেমনঃ এডোবি ফটোশপ, এডোবি ইলাস্ট্রেটর, এডোবি এক্স ডি, ফিগমা ইত্যাদি ব্যবহার করে একজন ডিজাইনার একটি ওয়েবসাইট এর লে-আউট ডিজাইন করবে।
  • ডিজাইন সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে, ওয়েবসাইট এর লে-আউট, ওয়েবসাইট এর বিভিন্ন ফিচার সম্পর্কে ভালো ধারনা রাখতে হবে।

ওয়েব ডিজাইন শিখে আয়ের মাধ্যমঃ 

  • বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করতে পারেন।
  • দেশীয় অথবা বিদেশী কোম্পানিগুলোতে ওয়েব ডিজাইনার লাগে, ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে জয়েন করে ভালো মানের  আয় করতে পারেন।
  • নিজের ওয়েবসাইট তৈরী করে সেখানে আপনার সার্ভিস হিসেবে অন্যদের ওয়েবসাইট ডিজাইনের কাজ করে দিয়ে আয় করতে পারেন।
  • এছাড়াও ওয়েব ডিজাইন এর কাজ করে আপনার পোর্টফোলিও তৈরি করে সেখান থেকে ক্লাইন্ট যোগার করে কাজ করতে পারেন।
  • এনভাটো অথবা এ ধরনের যেসব মার্কেটপ্লেস আছে সেগুলাতে আপনার তৈরীকৃত ডিজাইন বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম এর পাশাপাশি ভালো আয় করতে পারেন।

৬। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট(Web Development) এর  মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম

web development

ডিজিটালাইজেশন এর যুগে ওয়েবসাইট এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। প্রতিটি ব্যবস্যা এর জন্য ইন্টারনেট ভিত্তিক, অনলাইন পরিচিতি দরকার আর সেজন্য দরকার একটি ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট ডিজাইনের পর সেটা তার ফিচার অনুযায়ী ডেভেলপমেন্ট করতে হয় এবং এর পর সেটা পাবলিক করা হয়। তাই এ থেকে বুঝা যায় বর্তমানে এবং আগামীতেও ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা বেশ ভালোই থাকবে।

কি কি কাজ করতে হয় ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য?

  • প্রথম ধাপে ইউজার ইন্টারফেসকৃত ডিজাইন ফাইল থেকে কোডিং করে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট তৈরী করতে হবে যেটাকে ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট বলা হয়।
  • ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর জন্য HTML, CSS, JS সহ কিছু প্রয়োজনীয় কাজ শিখতে হবে, এর পর ব্যাক এন্ড এর জন্য কাজ শিখতে হবে।
  • স্ট্যাটিক থেকে ডাইনামিক করতে হলে ওয়েব সার্ভার এর সাথে কাজ করতে হয়, যেটাকে বলা হয় ব্যাক এন্ড ডেভেলপমেন্ট।
  • ব্যাক এন্ড ডেভেলপমেন্ট শিখতে হলে আপনাকে জানতে হবে সার্ভার সাইড ল্যাংগুয়েজ, একটু সময় দিয়ে যেকোনো একটি সার্ভার সাইড ল্যাংগুয়েজ শিখে ফেলুন।
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ব্যাপারে ফ্রন্ট এন্ড এবং ব্যাক এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যে পার্থক্য  আলোচনা করা হয়েছে আগের এই লেখাটিতে, জানতে চাইলে পড়তে পারেন বিস্তারিত এখান থেকে

কেমন আয় করা সম্ভব ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করে?

আয় সাধারনত নির্ভর করে আপনার অভিজ্ঞতা এবং আপনার কাজের কোয়ালিটি এর উপর। আপনি যেমন কাজ শিখবেন তেমন আয় করবেন, আগেই বলেছি। একজন ১-২ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রাইমারী লেভেল এর ওয়েব ডেভেলপার এর এভারেজ ইনকাম মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে।

কোনো বাংলাদেশী কোম্পানিতে জয়েন করে এই ধরনের স্যালারী পেতে পারেন। আবার আপনি আয় করতে পারেন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করেও। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস থেকেও ভাল মানের অনলাইন ইনকাম করতে পারেন।

একজন অভিজ্ঞ ওয়েব ডেভেলপার এর বেতন অনেক অনেক বেশি। Stackoverflow তে গিয়ে ওয়েব ডেভেলপার চেয়ে জব পোষ্টগুলো দেখুন, ৫০ হাজার ডলার – ১ লাখ ডলার বাৎসরিক স্যালারী।

তাই ইনকাম নিয়ে চিন্তা না করে কাজ করুন মন দিয়ে, কাজ শিখুন, দক্ষ হোন, অভিজ্ঞতা অর্জন করেন, লেগে থাকুন। হবে ইনশাল্লাহ।

৭। এপ্স ডেভেলপমেন্ট(Apps Development) এর  মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম

apps development

সাধারনত মোবাইলের জন্য তৈরিকৃত সফটওয়্যারকে অ্যাপ বলা হয়ে থাকে। আর এই এপ তৈরি করার পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট। আপনার যদি ১.৫ থেকে ২ বছর সময় থাকে এবং একটা ভাল কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য থাকে তাহলে আমি সাজেষ্ট করব আপনি এপ্স ডেভেলপমেন্ট শিখুন পুরা সময়টা নিয়ে। এপ্স ডেভেলপমেন্ট এর বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ খুব ভালো। হয়তো আগামী ১০ বছর এর মধ্যে এর চাহিদা কমার সম্ভাবনা নাই।

এপ্স ডেভেলপমেন্ট করে কেমন আয় সম্ভব?

একসময় ডেস্কটপ সফটওয়্যার এর চাহিদা ছিলো অনেক বেশি, এখনো এর যথেষ্ট চাহিদা আছে তবে, মোবাইল এপ্স এর চাহিদা অনেক অনেক বেশি। কারন বর্তমানে মোবাইল ইউজার সব থেকে বেশি। তাই যেকোনো ধরনের এপ্স (এন্ড্রয়েড, আই ও এস, উইন্ডোজ) তৈরী করে আপনি পারিশ্রমিক পেতে পারেন অথবা এপ্স এর মাধ্যমে আরো বিভিন্নভাবে আয় করা যায়।

বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে দেখা যায় একজন ওয়েব ডিজাইনার বা এস ই ও এর কাজের আয় ঘণ্টাপ্রতি গড়ে ১০ থেকে ১২, সেখানে একজন অ্যাপস ডেভেলপার এর গড় আয় প্রতিঘণ্টায় ২৫ থেকে ৫০ ডলার।

তাহলে হিসেব করুন কত আয় হতে পারে একজন দক্ষ এপ্স ডেভেলপার এর। দক্ষতা অর্জন করে মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন অনায়াসেই।

কি কি কাজ করতে হয় এপ্স ডেভেলপমেন্ট এর জন্য?

  • আগে ভালোভাবে জানতে হবে এপ্স ডেভেলপমেন্ট কি, এর চাহিদা কেমন, কেন এটা করব।
  • শিখতে হবে প্রোগ্রামিং, বিভিন্ন ক্যাটাগরীর এপ্স ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেতের বিভিন্ন ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে হবে। যেমন এন্ড্রয়েড এপ্স ডেভেলপমেন্ট এর জন্য শিখতে হবে (জাভা অথবা কোটলিন)।
  • বিভিন্ন কোম্পানির জন্য মোবাইল এপ্স তৈরী।
  • নিজের এপ্স নিজে এডমোব এর দ্বারা ও আয় করতে পারেন, এডসেন্স এর মত।
  • এছাড়া ও ইংরেজীতে যথেষ্ট দক্ষ হতে হবে, প্রোগ্রামিং এর বিষয় গুলো বুঝা এবং কাজ করার জন্য যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

সব কথার সামারাইজেশন করতে গেলে বলতে হয় যে, যেটাই শিখেন আপনাকে সময় দিয়ে ধৈর্য্য ধরে কাজ শিখে তারপর আয় করতে হবে। শর্টকার্ট কোনো ইনকামের চিন্তা করবেন না, লোভে পরবেন না।

একেবারে নতুনদের জন্য আমি কি সাজেষ্ট করি?

যদি আপনার হাতে সময় থাকে এমন যে, আপনার আগামী ১.৫ থেকে ২ বছর ইনকাম না হলেও চলবে, এবং আপনি পরবর্তীতে ভালো ইনকামের ইচ্ছা পোষন করেন, তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপরে জোর দিন। কারন ইন্টারনেট পৃথিবীতে যতদিন থাকবে এর চাহিদাও ততদিন থাকবে, হয়তো কলা কৌশল গুলো পরিবর্তন হবে।

আর যদি আপনি প্রোগ্রামিং এর জ্ঞান রাখেন, কোডিং করতে ভাল লাগে সেই সাথে আপনার হাতে সময় এবং ভালো মানের পিসি কেনার সামর্থ্য ও থাকে তাহলে এপ্স ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারেন, এটা হতে পারে আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার।

আর যদি লেখালেখিতে পারদর্শী হোন তাহলে ব্লগিং শুরু করুন, একটু সময় ব্যয় করুন, আয়ের চিন্তা প্রথম ৬ মাস বাদ দিন, দিনরাত পরিশ্রম করুন, ওয়েবসাইট তৈরী করে হোক আর অন্যের ব্লগ লিখে হোক আয় করুন।

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর উপর অনেক অন্যায় এবং বলা যায় যে এক প্রকার অত্যাচার চলছে, যদিও ভালো মানের ওয়েব ডেভেলপার খুজে পাওয়া যাবে সীমিত সংখ্যক। যদি ভালো মানের ওয়েব ডেভেলপার বা ডিজাইনার হওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে এ পেশায় এগুতে পারেন। তবে এ দেশের প্রেক্ষাপটে কম্পিটিশন অনেক অনেক বেশি।

আমি আমার ব্যাক্তিগত মতামত প্রকাশের পাশাপাশি কিছু যুক্তি উপস্থাপন করলাম, এখন পছন্দ আপনার, ক্যারিয়ারও আপনার।

সবারই উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে আজকে এখানেই শেষ করছি।

শুভকামনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *