অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি(What is Amazon Affiliate Marketing)

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি(What is Amazon Affiliate Marketing)

আসসালামু আলাইকুম, ফ্রেন্ড’স আইটি পয়েন্ট (Blog Academy) এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই স্বাগতম। আশাকরি  আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়ঃ অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

বর্তমান সময়ে, অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এই শব্দটি বেশ প্রচলিত। আমি ধরে নিচ্ছি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আপনার প্রাথমিক ধারণা আছে এবং এই বিষয়ে আপনার বিস্তারিত জানার  যথেষ্ট  আগ্রহ আছে ,তবে এই পোস্টটি আপনার জন্য। তো চলুন শুরু করা যাক।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে চলুন জেনে আসি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এই সম্পর্কে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

বর্তমান বিশ্বে এখন আর কোন মানুষকে কেনাকাটার জন্য ঘরের বাইরে তেমন যেতে হয় না। বাসা বা অফিসে বসেই ইন্টারনেট এর সেবার মাধ্যমে বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে পণ্য বা সেবা ক্রয় বা বিক্রয় করতে পারেন। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো কাস্টমারদের ক্রয়কৃত পণ্য বা সেবা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিয়ে থাকে। পণ্য প্রচার বা প্রচারণার জন্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলি মার্কেটরদের অ্যাফিলিয়েট সুবিধা দিয়ে থাকে। আর মার্কেটররা এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করে থাকেন। এটাই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

একটু বুঝতে কঠিন হয়ে যাচ্ছে তাই না। চলুন আর একটু সহজ ভাবে বুঝার  চেষ্টা করি। ধরন আপনি একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটর। আপনি অনলাইনে কোন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করার জন্য আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে মার্কেটিং করলেন। এক্ষেত্রে ঐ প্রতিষ্ঠান আপনাকে একটি অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক দিয়ে থাকে। আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে যদি কেও ঐ নির্দিষ্ট লিঙ্কটিতে ক্লিক করে কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় করে সেক্ষেত্রে আপনি একটি অ্যাফিলিয়েট কমিশন পাবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

অ্যামাজন কি(What is Amazon)?

অ্যামাজন হল পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট। আমেরিকার ওয়াশিংটনে অ্যামাজনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৪ সালের জুলাই মাসের ৪ তারিখে। অ্যামাজন এর যিনি প্রতিষ্ঠাতা তার নাম জেফ বেজোস। তিনি যখন শুরু করেন তখন বই বিক্রির মাধ্যমে অ্যামাজনের যাত্রা শুরু হলেও এখন প্রায় অ্যামাজন নিত্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকে।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Amazon Affiliate Marketing)  কি?

ধরুন আপনি একজন অ্যামাজন  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটর। আপনি অনলাইনে ​অ্যামাজনের  এক বা একাধিক পণ্য বা প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করার জন্য আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে মার্কেটিং করলেন অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটে প্রোমোট করলেন। এক্ষেত্রে ঐ প্রতিষ্ঠান আপনাকে একটি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক দিয়ে থাকে। আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে যদি কেও ঐ নিদ্রিস্ট লিঙ্কটিতে ক্লিক করে কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় করে সেক্ষেত্রে আপনি একটি অ্যাফিলিয়েট কমিশন পাবেন। 

উদাহরণ স্বরূপ ধরুন অ্যামাজনে  অনেক গুলো  ল্যাপটপ আছে বিক্রির জন্য। এখন আপনি ল্যাপটপ সম্পর্কে খুব ভাল জানেন। আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি জানালেন যে ঐ প্রোডাক্ট গুলি বেশ ভাল। প্রোডাক্ট গুলির বিস্তারিত বিবরণ আপনার অডিয়েন্সের কাছে ভালোভাবে উপস্থাপন করলেন। এখন কেও যদি ইন্টারেস্টেড হয়ে কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করে তবে আপনি অ্যামাজনের একটি নিদ্রিস্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন। আর এটাই হচ্ছে মূলত অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। 

অনলাইনে অনেক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আছে – কিন্তু অ্যামাজন কেন?

amazon

সবার প্রথম কারণ হল অ্যামাজন পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ ও জনপ্রিয়  ই-কমার্স ওয়েবসাইট। ওদের কাছে যতগুলো পণ্য রয়েছে পৃথিবীর আর কোন প্রতিষ্ঠানের এতগুলো পণ্য বা প্রোডাক্ট  নেই। যেহেতু ওদের প্রোডাক্ট বা পণ্যের সংখ্যা অনেক বেশি তাই প্রোডাক্ট প্রোমোশন বা মার্কেটিং করার সুযোগ ও তত বেশি। আমরা যদি অ্যামাজনের লোগো টার দিকে একটু ভালোভাবে খেয়াল করি তবে দেখতে পাব a থেকে z পর্যন্ত একটি তীর চিহ্ন নির্দেশ করছে। যার অর্থ দাড়ায় অ্যামাজনে এ থেকে জেড পর্যন্ত সব পণ্যই তাদের কাছে আছে।

কোটি কোটি পণ্যের মধ্যে যেই ক্যাটাগরির প্রোডাক্ট বা পণ্য গুলি আপনার কাছে  ভাল লাগে আপনি সেই প্রোডাক্ট বা পণ্য গুলই আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারেন।


অ্যামাজন থেকে প্রোডাক্ট বা পণ্য
কিনলে যদি কোন প্রতারণার স্বীকার হয়?

বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড এর মধ্যে অ্যামাজন সবার সেরা। অ্যামাজনে কেউ  পণ্য বা প্রোডাক্ট  ক্রয় করতে  গিয়ে প্রতারণার স্বীকার হওয়ার কথা কেউ ভাবে না। কাস্টমারদের কোন প্রোডাক্ট বা পণ্য পছন্দ হলে তারা সেটা ক্রয় করবেই। তাই এটা নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। 

অ্যামাজনের সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে আপনি যেসব প্রোডাক্ট আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে  প্রমোট বা মার্কেটিং করবেন শুধু এর জন্যই আপনি কমিশন পাবেন বিষয়টা এরকম না বরং আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে কেউ যদি অ্যামাজনের ওয়েবসাইট এ গিয়ে আলাদা কোন প্রোডাক্ট বা পণ্য কেনে সেক্ষেত্রেও আপনি কমিশন পাবেন। অর্থাৎ আপনি কোন একজন কাস্টমারকে আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে অ্যামাজনে পাঠালে ঐ ক্রেতা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় করলেই আপনার অ্যাফিলিয়েট একাউন্টের মধ্যে একটি অ্যাফিলিয়েট কমিশন ঢুকে যাবে।

অ্যামাজনে তো কমিশন কম – তাহলে করবো কেন?

অধিকাংশ মানুষের একটা কমন অভিযোগ এই যে অ্যামাজনে কমিশন খুব কম। এখানে পরিশ্রম করে খুব একটা লাভ হয় না।  হ্যাঁ এটা সত্যি যে অ্যামাজনে কমিশন কম। তবে এক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। চলুন বিস্তারিত আলোচনা করি।

অ্যামাজনে যারা কাজ করে না, তাদের সবারই এটা একটা কমন অভিযোগ যে অ্যামাজনে কমিশন খুব কম। এখানে কষ্ট করে লাভ নাই। কিন্তু, এখানে কিছু বিষয় জেনে নেয়া প্রয়োজন।

অন্যান্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের তুলনায়  অ্যামাজনে কনভার্সন রেট অন্য যেকোনো সাইটের চাইতে অনেক বেশি হয়ে থাকে। তার কারণ হল  আপনি যদি ক্লিকব্যাংক বা সিমিলার কোন মার্কেটপ্লেস এর কোন প্রোডাক্ট আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে প্রোমোট বা মার্কেটিং করেন, তাহলে প্রতি ১০০ জনে হয়তো  ১-২ জন কিনতে পারে,প্রোডাক্ট এর কোয়ালিটি খুব ভালো হলে ৫-৭ জন ও কিনতে পারে। আবার কয়েকশো জনেও মধ্যে কেউ নাও  কিনতে পারে, এমনও হয়। সাধারণত এর বেশি  কনভার্সন রেট পাওয়া যায় না বললেই চলে। অপরদিকে অ্যামাজনে সঠিকভাবে কোন নিশের উপরে কাজ করলে অন্যান্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের তুলনায় অনেক বেশি কনভার্সন রেট পাওয়া যায়। মিনিমাম ৮-১০%। এর বেশি ও পাওয়া যায়। আর তাছাড়া অ্যামাজনের আপনি যেই প্রোডাক্ট প্রমোট  বা মার্কেটিং করবেন কাস্টমার যদি ঐ প্রোডাক্ট না কিনে অন্য কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করে তার পরেও আপনি কমিশন পাবেন। এই সবিধাটা আপনি অন্য কোন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে পাবেন না। অর্থাৎ ঐ নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট এর কমিশন ছাড়া অন্য কোন পণ্যের জন্য কমিশন পাবেন না। এ কারনেই অ্যামাজনে কমিশন কম হলেও লাভের পরিমাণ অনেক বেশি। এক্ষেত্রে আপনি সেল অনেক বেশি পাবেন। এজন্যই আমার মত আপনার ও প্রথম পছন্দ হতে পারে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম ।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সম্ভাবনা কেমন?

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ রয়েছে অপার সম্ভাবনা। আপনি যদি এই বিষয়টি কে ভালোভাবে জেনে সঠিক ভাবে কাজ করতে পারেন তবে এখান থেকে অনেক ভাল কিছু করা সম্ভব। অ্যামাজন অ্যাফিলেশন করে কয়েক শত থেকে কয়েক হাজার পর্যন্ত আপনি ইনকাম করতে পারবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এর জন্য অবশ্যই আপনাকে কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে এবং স্টাডি করতে হবে। আর হ্যাঁ বিনিয়োগ করার মন মানসিকতা থাকতে হবে। মিনিমাম ৪০-৫০ হাজার টাকা মত। তবে টিম হিসেবে কাজ করতে পারলে সবথেকে বেশি ভাল হয়।

আমি ছোট খাটো একজন ডিজিটাল মার্কেটর। আমার থেকে অনেকেই আছেন যারা অনেক বেশি ইনকাম সোর্স জেনারেট করেন। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েশন সাইটের সব থেকে মজার ব্যপার হল আপনি চাইলেই যেকোনো সময় আপনার নিশ সাইটকে বিক্রি করে দিতে পারেন বিভিন্ন জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে। তবে সেক্ষেত্রে আপনার নিশ সাইট এর ইনকাম যত ভাল হবে আপনি তত বেশি দামে বিক্রি করে দিতে পারবেন। ধরুন আপনার নিশ সাইট টি প্রতি মাসে $২৫০ আয় করছে। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার সাইট ১০-১৫ গুন বেশি দামে সেল করে দিতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট বিক্রির জন্য বেশ কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে তাদের মধ্যে এম্পায়ার ফ্লিপারস(Empire Flippers) অন্যতম। 

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাদের জন্য?

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট এ আপনার ক্যারিয়ার গড়ার আগে সবার প্রথম যে বিষয়টি আপনাকে ভাবতে হবে তা হল আসলে কি আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান নাকি চাননা। যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয়  তাহলে আমি মনে করি আপনার যদি কঠোর পরিশ্রম করার মন মানসিকতা থাকে এবং বিনিয়োগ করার মত এবিলিটি থাকে তবে আপনার দ্বারা এটা করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় আপনাকে অবশ্যই মাথায়  রাখতে হবে যে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং  এমন কোন পদ্ধতি নয় যা শিখে আপনি দ্রুত সফলতা পেয়ে যাবেন। অবশ্যই  আপনাকে  লেগে থাকার মন মানসিকতা থাকতে হবে ভাল একটা  ইনকাম  সোর্স জেনারেট হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। যারা  ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে বেশ আগ্রহী তারা এই সেক্টরে বেশ ভালো করতে পারে। তবে আমি মনে করি চাইলে যে কেউ বেশ ভালোভাবে  অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন । শুধু দরকার পরিশ্রম করার মন মানসিকতা।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে কি কি বিষয় জানতে হবে

প্রথমত আপনাকে একটি ভাল  নিশ(Niche) খুঁজে বের করতে হবে। এরপর সেই নিশের উপর ভিত্তি করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। সুতরাং ওয়েব ডিজাইন এর উপর ও মোটামুটি একটা  ধারনা থাকতে হবে। এর পরের ধাপটি হচ্ছে  ওয়েবসাইট টিকে এসইও ফ্রেন্ডলি করতে হবে। কেননা  SEO অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ আপনি যদি প্রোডাক্ট প্রমোট করতে চান তাহলে আপনাকে  অবশ্যই গুগলে রেঙ্ক এ আসতে হবে। আর তা না হলে আপনি অরগানিক ট্রাফিক পাবেন না। আর আপনার প্রোডাক্ট ও সেল হবে না। এজন্য  SEO সম্পর্কে যদি আপনার ভাল নলেজ থাকে তবে আপনি অন্যের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে থাকবেন। এরপর আপনার যেটিতে মোটামুটি ভাল দখল থাকতে হবে তা হল ইংলিশ জানা। তবে এটা বাধ্যতামূলক নয়। ইংরেজিতে আর্টিকেল বা কনটেন্ট লিখতে না পারলে অনেকে টাকা পেমেন্ট করে   ভালো কন্টেন্ট রাইটারের মাধ্যমে লিখে নিয়ে থাকে।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কি পরিমান সময় দিতে হবে​?

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং স্বল্প সময়ে হাজার ডলার ইনকাম করার কোন পদ্ধতি না। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার গড়তে হলে অবশ্যই আপনাকে  এর পিছনে লেগে থাকা জরুরি। আমি মনে করি নতুন যারা শুরু করবেন তাদের প্রতিদিন গড়ে ৫-৭ ঘন্টা করে মিনিমাম ১ বছর সময় হাতে নিয়ে কাজে নামা উচিত।

একটিভ ইনকাম কি(What is Active Income)?

একটিভ ইনকাম কি
একটিভ ইনকাম

নির্দিষ্ট সময়ে শ্রমের বিনিময়ে প্রাপ্য মজুরি বা পারিশ্রমিকই হল একটিভ ইনকাম। ধরুন আপনি একজন ওয়েব ডেভেলপার। আপনি একজন ব্যক্তি বা একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩-৫ দিনের মধ্যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে দিলেন। সেক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনাকে একটি নিদ্রিস্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করল। এটিই মূলত আপনার একটিভ ইনকাম। এছাড়া আপনি আপনার অফিসে এক মাস কাজ করে যে বেতন পান এটাও একটিভ ইনকাম।

একটিভ ইনকামের কিছু সুবিধা(Some benefits of active income)

  • ইনস্ট্যান্ট ইনকাম করা যায়।
  • গুগলের মত অনেক বড় বড় কোম্পানি সেলারি অনেক বেশি দিয়ে থাকে।

একটিভ ইনকামের কিছু অসুবিধা(Some disadvantages of active income)

  • ​একটিভ ইনকাম নিরাপদ নয়।
  • অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে হয়।
  • চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
  • নির্দিষ্ট সময় (৯টা – ৫টা) কর্মক্ষেত্রে বসে থাকতে হয়।

​প্যাসিভ ইনকাম কি(What is passive income)?

​প্যাসিভ ইনকাম কি
প্যাসিভ ইনকাম

প্যাসিভ ইনকাম বলতে যে ইনকাম এর জন্য একবার কাজ করে বা একবার ইনভেস্ট করে বহুদিন ধরে এই ইনকামের সুফল ভোগ করা যায় সাধারণত তাকেই প্যাসিভ ইনকাম বলে।প্যাসিভ ইনকাম এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চাইলে আপনাকে সবসময় এর সাথে লেগে থাকতে হয় না।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আপনি একটি ৫ তলা ফাউন্ডেশন এর বাড়ি বানালেন। ৫ জন ভাড়াটিয়াকে ৫ টি ইউনিটই ভাড়া দিলেন। এক্ষেত্রে প্রতি মাসে ভাড়া উঠানো ব্যতীত আপনার তেমন কোন কাজ নেই বললেই চলে। এইটা অফলাইনে প্যাসিভ ইনকাম এর একটি চমৎকার উদাহরণ। প্যাসিভ ইনকাম করেন এমন আরও  কিছু জনপ্রিয় মানুষ আছে যেমনঃ লেখক, কবি, গায়ক, ইত্যাদি। অনলাইনে প্যাসিভ ইনকামের কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং,অনলাইন কোর্স, স্টক ফটো ইত্যাদি।

​প্যাসিভ ইনকামের কিছু সুবিধা(Some benefits of passive income)

  • ​ইনকাম শুরু না হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মেধা,শ্রম এবং অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়,
    পরবর্তীতে শুধু এটি মেইনটেইন করলেই চলে।
  • সবসময় এর সাথে সংযুক্ত থাকতে হয় না।
  • সময় এবং অর্থের পূর্নাঙ্গ স্বাধীনতা লাভ।
  • কারো উপর নির্ভরশীল হতে হয় না।
  • এটি একটি স্মার্ট এবং আধুনিক পেশা।
  • প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য কোনো বিড করার প্রয়োজন পড়ে না।
  • স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে।
  • আনলিমিটেড ইনকাম করা সম্ভব।
  • ঘুমিয়ে থাকলেও ইনকাম করা সম্ভব

প্যাসিভ ইনকামের কিছু অসুবিধা

অনেক সুবিধার পাশাপাশি এই পেশার কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেমন, ফ্রিল্যান্সিংয়ের শুরুর দিকেই সবাই বিনিয়োগ করতে তেমন আগ্রহী হয় না। আপনার জীবনে গার্লফ্রেন্ড কিংবা বয়ফ্রেন্ড-এর জন্য অনেক রিস্ক নিলেও এই ইন্ডাস্ট্রির রিস্কটা অনেকে নিতে চায় না।

পরবর্তী আলোচনায় আমরা যেসব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো

অ্যামাজন নিশ ওয়েবসাইট তৈরি করতে যা যা আমাদের দরকার

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ধাপ সমুহ

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট কমিশন স্ট্রাকচার

তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং(Amazon Affiliate Marketing) নিয়ে কোনো পরামর্শ থাকলে, আমাদেরকে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।

ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের পুরো পোস্টটি পরার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *