Blog Academy এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। ইতোমধ্যে আমরা গ্রাফিক্স ডিজাইন কি তা জেনে ফেলেছি, না জানলে আপনি আগের পোস্টগুলো পড়ে আসতে পারেন। আজকে আমরা জানবো কিভাবে সফল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়া যায়?
আলোচ্য বিষয়ঃ কিভাবে সফল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়া যায়?
তাহলে চলুন শুরু করি, ধরুন আপনি একজন শিক্ষক। এবার বলুন আপনি সব বিষয় পড়াতে পারবেন?
হ্যা পারবেন, প্রাইমারী বা মাধ্যমিক লেবেলের ছাত্র/ছাত্রীর শিক্ষক হয়ে থাকলে আপনি পারবেন। কিন্তু তাতেও আপনাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে অথবা আপনি সব বিষয়ের ওপর দক্ষ হতে পারবেন না।
এবার চলুন কলেজ বা ভার্সিটি পর্যায়ে। এখানে মুলত প্রত্যেক শিক্ষক কিন্তু আলাদা আলাদা বিষয়ের ওপর অভিজ্ঞ। ফলে তারা একেকটা বিষয়ের ওপর তাদের অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করে থাকেন। যেমনঃ গণিতের শিক্ষক ইংরেজীতে বা অন্য কোন বিষয়ে দক্ষ নয়, তেমনি অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিগন প্রাথমিক লেবেলের জ্ঞানের অধিকারী হয়ে থাকে।
ঠিক এই জায়গাতেও আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার ঠিক আছে, তবে আপনাকে একটি বিষয়ের ওপর দক্ষ হয়ে ওটা খুবই জরুরী। আপনি ডিজাইনের একটি বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে উঠুন তাতেই আপনার সৃজনশীলতা আর দক্ষতা ফুটে উঠবে। মনে রাখবেন প্রাইমারী লেবেলের জ্ঞান নিয়ে অথবা সব কিছু অল্প অল্প করে জেনে আপনি মোটেও নিজেকে দক্ষ বলতে পারবেন না। আবার ক্লাইন্টকেও সন্তুষ্ট করতে পারবেন না। তাই আপনাকে একটি বিষয়ের ওপর দক্ষ হয়ে ওঠাটা অনেক জরুরী।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার কত ধরনের চলুন তা জেনে নেই-
১। বিজ্ঞাপন(Advertising) ডিজাইনার
২। পরিবেশগত(Environmental) ডিজাইনার
৩। প্রকাশন(Publication) ডিজাইনার
৪। মোশন(Motion) ডিজাইনার
৫। কর্পোরেট(Corporate) ডিজাইনার
৬। ওয়েব(Web) ডিজাইনার
৭। প্যাকেজিং(Packaging) ডিজাইনার
চলুন সংক্ষেপে এসব ডিজাইনার সম্পর্কে জেনে আসি-
বিজ্ঞাপন(Advertising) ডিজাইনারঃ সাধারনত বিজ্ঞাপন ডিজাইনের কাজ করে বিজ্ঞাপন ডিজাইনার। প্রেস, ম্যাগাজিন, ডিজিটাল ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন এসব জায়গায় কাজ করে থাকেন।
এদের কাজগুলো মুলতঃ
১। ম্যাগাজিন এবং নিউজপেপার ডিজাইন
২। ব্রসিউর(Brochure) ডিজাইন
৩। ইমেইল নিউজলেটার ডিজাইন
৪। সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স
৫। ইনফোগ্রাফিক্স
পরিবেশগত(Environmental) ডিজাইনারঃ সাধারনত আর্কিটেকচার, ইন্টেরিয়র ডিজাইন করাই এদের কাজ।
এদের কাজগুলো হলঃ
১। এক্সিবিউশন এবং ইভেন্ট স্পেস
২। মিউচুয়াল আর্টওয়ার্ক।
৩। সিগনেজ
৪। অফিস ব্রান্ডিং
৫। স্টেডিয়াম এবং কনসার্ট ব্রান্ডিং
প্রকাশন(Publication) ডিজাইনারঃ মুলত নিউজপেপার, ই-পাবলিকেশন এবং ম্যাগাজিন এ এরা কাজ করে থাকে ।
এদের কাজগুলো হলঃ
১। বই
২। ই-পাবলিকেশন
৩। ম্যাগাজিন এবং নিউজপেপার
৪। ক্যাটালগ
৫। খাবার মেনু
মোশন(Motion) ডিজাইনারঃ এরা মুলত ইলিমেন্ট এর ইলিউশোন নিয়ে কাজ করে।
এদের কাজগুলো হলঃ
১। টিভি বিজ্ঞাপন
২। মুভি ইন্ট্রো
৩। টেক্সট এনিমেশন
৪। এপস ডিজাইন
৫। ভিডিও গেমস
কর্পোরেট(Corporate) ডিজাইনারঃ সাধারনত কর্পোরেট লেভেলের কাজগুলো এরা করে থাকে।
এদের কাজগুলো হলঃ
১। লোগো ডিজাইন
২। বিসনেস কার্ড ডিজাইন
৩। লেটারহেড ডিজাইন
৪। স্টেশনারী
ওয়েব(Web) ডিজাইনারঃ সাধারনত ওয়েবসাইট ডিজাইন ও এপস ডিজাইন করে থাকে।
এদের কাজগুলো হলঃ
১। ওয়েবসাইট ডিজাইন
২। মোবাইল এপস ডিজাইন
প্যাকেজিং(Packaging) ডিজাইনারঃ সাধারনত প্যাকেজ ডিজাইনের অন্তর্ভুক্ত কাজগুলো করে থাকে।
এদের কাজগুলো হলঃ
১। ক্যানেড ফুড
২। র্যাপার(Rapper) এবং লেবেল
৩। টেক ওয়ে কন্টেইনার
আপনি লোগো, বিজনেস কার্ড ডিজাইন করতে পারেন, তাহলেও আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার তবে আপনি কর্পোরেট ডিজাইনার এর আওতায় পরবেন। আপনি ফেসবুক কভার পেজ, প্রোফাইল পেজ, বিজ্ঞাপন ডিজাইন করতে পারেন তাতেও আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার।
তবে আপনাকে সব কিছুর ডিজাইন করতে হবে কিছু জিনিস মাথায় রেখে-
সেগুলো হল-
১। চাহিদা বোঝা(কি চায় আসলে)
২। মিনিংফুল
৩। কালার কম্বিনেশজন আর
৪। সঠিক সেপ আর টাইপোগ্রাফি এর ব্যবহার
এসব নিয়মের অনুসরন করলেই আপনার ডিজাইন হবে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের ডিজাইন আর আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার। পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাওয়ায় অনেক কিছুই সংক্ষেপে আলোচনা করতে হল। আমরা এই বিষয়ে ক্রমান্বয়ে জানতেই থাকবো আশা করি।
তো এই পর্বে আমরা জানতে পারলাম কিভাবে দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়া যায়। এর পরে আমরা গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে কি কি গুন লাগে তা জানবো এবং ক্রমান্বয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনার কেমনে ক্রিয়েটিভ আর সুন্দর সুন্দর ডিজাইন করে থাকে, কালার কেমন ব্যবহার করা উচিত, কালার সাইকোলোজি কি, তা জানবো । ধন্যবাদ সবাইকে।