আসসালামু আলাইকুম, ফ্রেন্ড’স আইটি পয়েন্ট (FriendsITpoint) এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। অন পেজ অপটিমাইজেশন কি(What is on page optimization)? এই বিষয়টি নিয়ে আমরা পূর্ববর্তী পোস্টে আলোচনা করেছি। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে অফ-পেজ অপটিমাইজেশন( Off page Optimization) কি ? এবং কিভাবে ওয়েবসাইটে অফ-পেজ অপটিমাইজেশন(Off Page Optimization) করতে হয়, সেই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবো।
অফ পেজ অপটিমাইজেশন কি?
অফ পেজ অপটিমাইজেশনঃ সাধারনভাবে, অফ-পেজ অপটিমাইজেশন বলতে, ওয়েবসাইট(Website) এর বাইরে যে সকল কাজগুলি করা হয় তাকেই অফ-পেজ অপটিমাইজেশন(Off page optimization) বলা হয়। অর্থাৎ অফ পেজ অপটিমাইজেশন হলো ওয়েবসাইটের মার্কেটিং(website marketing technique) পদ্ধতি। অন্যভাবে বলতে গেলে অফ পেজ অপটিমাইজেশন বলতে ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক বিল্ডিং(Link Building) কে বোঝায়।
সার্চ ইঞ্জিন এর শেষ ধাপটি হচ্ছে অফ পেজ অপটিমাইজেশন(Off page optimization)। ওয়েবসাইট তৈরি করার পরে অনলাইন বা ইন্টারনেট(Online or Internet) এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট এর মার্কেটিং করাকে অফ পেজ অপটিমাইজেশন বোঝায়। আপনি যদি ওয়েবসাইট(Website) তৈরি করে ওয়েবসাইটটিকে ঠিকমত মার্কেটিং করতে না পারেন তাহলে আপনার সেই ওয়েবসাইট তেমন কোন কাজে আসবে না। তাই অনলাইন বা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট এর মার্কেটিং বাড়াতে, অধিক সংখ্যক ভিজিটর পেতে অফ পেজ অপটিমাইজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
অফ পেজ অপটিমাইজেশন কি সেটা জানলাম। এখন আসুন আমরা কিভাবে ওয়েবসাইট এর মার্কেটিং করতে পারি বা ওয়েবসাইট এর অফ পেজ অপটিমাইজেশন করতে পারি এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জানি।
অফ পেজ অপটিমাইজেশন টেকনিক সমুহঃ
পেইড মার্কেটিং(Paid marketing) এর মাধ্যমে
- সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং(Social Media Marketing)
- ফোরাম পোস্টিং এর মাধ্যমে মার্কেটিং(Forum Posting Marketing)
- অথরিটি ওয়েবসাইট(Authority Webiste) এর রেফারান্স নিয়ে মার্কেটিং
- গেস্ট পোস্টিং(Guest posting) এর মাধ্যমে মার্কেটিং
- ডিরেক্টরী সাবমিশন(Directory submission) এর মাধ্যমে মার্কেটিং:
- Social bookmarking এর মাধ্যমে মার্কেটিং
- YouTube এর মাধ্যমে মার্কেটিং
- নিজের অনেক গুলো প্রাইভেট ওয়েবসাইট(Private website) তৈরি করার মাধ্যমে।
পেইড মার্কেটিং(Paid marketing): Paid marketing হল সার্চ ইঞ্জিনগুলোকে টাকা pay করে ওয়েবসাইট এর মার্কেটিং করা। যেমনঃ গুগলে সার্চ দিলে অল্প কিছু ওয়েবসাইট এর url বা লিঙ্ক এর সামনে অ্যাড(Ad) লেখা শো করে। , তারা মূলত টাকা দিয়ে সার্চ রেজাল্টে আসে।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং(Social Media Marketing):যেকোনো কিছু মার্কেটিং করার সব থেকে বড় মাধ্যম হছে সোশ্যাল মিডিয়া। কাজেই ওয়েবসাইট তৈরি করার পরে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করার ফলে সবাই সেটা নিয়ে আলোচনা করবে। এর ফলে গুগল আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানবে এবং বুঝতে পারবে । এটা করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট এর র্যাঙ্ক বাড়বে।
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমনঃ
ফোরাম পোস্টিং এর মাধ্যমে মার্কেটিং(Forum Posting Marketing): ফোরাম পোস্টিং এর মাধ্যমে মার্কেটিং করার আগে আমাদের জানতে হবে ফোরাম ওয়েবসাইট কোনগুলি এবং কিভাবে ফোরাম পোস্টিং করতে হয়? অনলাইনে বিভিন্ন ফোরাম ওয়েবসাইট আছে। ফোরাম ওয়েবসাইট হচ্ছে ঐ সব ওয়েবসাইট যেখানে মানুষ তাদের মতামত এবং সমস্যার কথা শেয়ার করে। এসব ওয়েবসাইট থেকে লিঙ্ক জেনারেট করার জন্য বিভিন্ন পোস্ট করে থাকে যার মধ্যে তাদের নিজেদেরও লিঙ্ক থাকে। বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় ফোরাম ওয়েবসাইট হল reddit.com
অথরিটি ওয়েবসাইট(Authority Website) এর রেফারেন্স নিয়ে মার্কেটিংঃ যেসব ওয়েবসাইট গুলো গুগলের টপ রেঙ্কিং এ থাকে এবং যেসব ওয়েবসাইটগুলোর ডোমেইন অথরিটি, পেজ অথরিটি অনেক বেশি সেসব ওয়েবসাইটগুলো গুগলের কাছে অথরিটি ওয়েবসাইট। কাজেই সেসব ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক অনেক বেশি মূল্যবান। আমরা যদি এসব হাই অথরিটি ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক(Backlink) নিতে পারি তবে আমাদের ওয়েবসাইট এর রেঙ্ক বাড়বে।
গেস্ট পোস্টিং(Guest posting) এর মাধ্যমে মার্কেটিংঃ Guest posting কে অনেক সময় Guest blogging বলে থাকে। গেস্ট পোস্টিং বা গেস্ট ব্লগিং হলো, একটি ব্লগ বা আর্টিকেল লিখে অন্য ব্যাক্তির ওয়েবসাইটে পাবলিশ (publish) করা। এখন আপনি হয়তো মনে মনে ভাবছেন, আমি এতো কষ্ট করে আর্টিকেল বা ব্লগ লিখে অন্য একজনের ব্লগে কেন সেটা পাবলিশ করবো ? এটা করে আমার লাভ কি?। আপনার প্রশ্নের উত্তরটি আমি দিচ্ছি। দেখুন, গেস্ট পোস্টিং(Guest Positing) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে আমি অসংখ্য High Quality Backlink তৈরি করতে পারব। যার ফলে আমার ওয়েবসাইট এর অথরিটি বাড়বে এবং ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বাড়বে।
ডিরেক্টরী সাবমিশন(Directory submission) এর মাধ্যমে মার্কেটিং: High Quality Backlinks তৈরি করার জন্য, Directory Submission Websites গুলি সব সময় একটি ভালো এবং কার্যকর পদক্ষেপ। High Quality Directory website গুলোতে আমাদের ওয়েবসাইটকে লিস্টিং করতে পারলে সেটা আমাদের জন্য রেঙ্কিং এর ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে। এজন্য প্রথমে আপনাকে ডিরেক্টরি ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্টার করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াতে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের লিংক জমা করবেন। এর পরে বিভিন্ন ক্যাটাগরি (category) গুলির মধ্যে থেকে নিজের ওয়েবসাইট এর সাথে জড়িত একটি ক্যাটাগরি বাছাই করবেন। এই মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইট URL link জমা করার ফলে, আপনি সেই ডিরেক্টরি ওয়েবসাইট(Directory Website) থেকে ব্যাকলিংক (backlink) পাবেন। যেটা যেকোনো ওয়েবসাইট রেঙ্কিং এর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর।
Some directory submission websites list:
- https://10directory.com/
- https://boingboing.net/
- https://www.blogadda.com/
- https://www.siteswebdirectory.com/
- https://www.thewebdirectory.org/
- https://www.indiblogger.in/
Social bookmarking এর মাধ্যমে মার্কেটিংঃসোশ্যাল বুকমার্কিং ওয়েবসাইট, হলো এমন একটি অনলাইন সেবা যেখানে ব্যবহারকারীরা যেকোনো ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজগুলি বা লিঙ্কগুলিকে bookmark হিসেবে সেভ (save) করে রাখতে পারেন এবং অন্যদের সাথে সেই লিঙ্কগুলি শেয়ার করতে পারেন। নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগ গুলিকে অনলাইনে promote এবং marketing করার জন্য, এই ধরণের social bookmarking websites অনেক কাজে আসবে।
Some popular social bookmarking website list:
- tumblr.com
- pinterest.com
- digg.com
- Scoop.it
- delicious.com
- technorati.com
- Reddit.com
- Stumbleupon.com
YouTube এর মাধ্যমে মার্কেটিংঃ বর্তমান সময়ে কোন বিজনেসকে Promote বা Marketing করার আর একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হল ইউটিউব মার্কেটিং(Youtube Marketing)। গুগলের পরেই ইউটিউব হলো সব থেকে বেশি ব্যবহার হওয়া ভিডিও সার্চ ইঞ্জিন। এজন্য, আপনিও ইউটিউবে নিজের একটি চ্যানেল তৈরি করে ব্লগের কন্টেন্ট গুলিকে ভিডিও কন্টেন্ট হিসেবে পাবলিশ করতে পারবেন। এবং সেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর লিঙ্কটি ব্যাকলিঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এবং প্রতিটি ভিডিও কন্টেন্ট এর সাথে ওয়েবসাইট এর লিংকটিকে ব্যাকলিঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বেড়ে যাবে এবং আপনার বিজনেস বৃদ্ধি পাবে।
নিজের অনেকগুলো প্রাইভেট ওয়েবসাইট তৈরির মাধ্যমেঃ নিজের অনেকগুলো প্রাইভেট ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করা যেতে পারে। তবে এই পদ্ধতি অনেকটা ব্যায়বহুল ও বটে। তবে আপনি যদি চান করতে পারেন। পরবর্তীতে আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে লিঙ্ক বিক্রি করার মাধ্যমে income source Generate করতে পারেন। যারা এটা করেন তারা প্রত্যেকে এই কাজটা অনেকটা গোপনে করে থাকেন। যাতে গুগোল সেটা বুঝতে না পারে।
পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই আর সেটি হল, আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট এর অনপেজ এবং অফপেজ সঠিক ভাবে অপটিমাইজেশন করতে পারেন তবে search engine result page (SERP) এ আপনার ওয়েবসাইটের ভালো position দেখতে পাবেন।
অফ পেজ অপটিমাইজেশন নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, আমাকে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য।
Thank you Sir for giving ideas to help us .
আমি লক্ষ্য করলাম আপনি আপনার প্রতেকটি পোস্টে অন্যকে ব্যাকলিঙ্ক প্রদান করেছে। আমিও আপনার এই ওয়েব সাইট থেকে একটি গেস্ট পোষ্ট করার মাধ্যমে ব্যাকলিঙ্ক পেতে চাই। দোয়া করে আমাকে অনুমতি দিন। আমি আপনার রিপ্লায় এর অপেক্ষায় থাকব, ভাই Please reply. দরকার লাগলে আমি আপনাকে পোস্টের ডেম দেখাতে পারব। দয়া করে আমাকে আমার email এ বিষয়ে সম্মতি দিন।
Thank you.
Please contact os on skype: mostakinmithun or email mostakin@ineedmarketer.com