ই কমার্স কি, কাকে বলে এবং এর নীতিমালা বিস্তারিত

ই কমার্স কি, কাকে বলে এবং এর নীতিমালা বিস্তারিত

আসলামুআলাইকুম, Blog Academy তে স্বাগতম, আজকে আমরা আলোচনা করবো, ই কমার্স কি এবং ই কমার্স এর বিস্তারিত বিষয় নিয়ে। এই লেখার মাধ্যমে মূলত আমরা জানার চেষ্টা করবো, ই কমার্স কি এবং কাকে বলে, এটা কিভাবে কাজ করে? ই কমার্স ব্যবসা কি এবং বাংলাদেশে ই বানিজ্য। এছাড়াও ই কমার্স ব্যবসার নীতিমালা, ই-বিজনেস এবং ই-কমার্স এর পার্থক্য সহ বিভিন্ন বিষয়ের বিস্তারিত জানতে পারবেন, ইনশাল্লাহ।  

অনলাইন-প্রযুক্তি নির্ভর এ সময়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে ব্যবসায় এর বাইরে নয়। আধুনিক ব্যবসায় পরিচালনার ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক-কমার্স এর অন্তর্ভুক্তি প্রযুক্তিগত একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

বর্তমানে মানুষ সব কিছু হাতের নাগালে পেতে চাইছে, আর ইলেকট্রনিক কমার্স প্রযুক্তির ব্যবহার তা সহজলভ্য করে তুলেছে। বেশিরভাগ মানুষই তাদের কাঁচাবাজার, ওষুধ, ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য, পোশাক এবং গৃহস্থালি বিভিন্ন সরঞ্জাম অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে পছন্দ করেছেন। এবং সেবা গুলো গ্রহন করে নিজেদের সময়কে সাশ্রয় করছেন।

আজকাল মানুষ অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ক্রয়-বিক্রয় উপর অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। এটি সম্ভব হয়েছে মূলত ইলেকট্রনিক-কমার্সের রেভ্যুলেশন এর ফলে। যেমন,  একজন ব্যবসায়ী নিজস্ব দোকান কিংবা শপিংমল থাকার পরও ইলেকট্রনিক-কমার্স বা অনলাইনে পণ্য বিক্রি করছেন।

ই-বাণিজ্য নিয়ে অনেকের সংশয় এবং দ্বিমত থাকলেও বেশিরভাগ মানুষ এখান থেকে অনেক সফল হয়েছেন। এবং এটির সম্ভাবনা অনেক দূর পর্যন্ত প্রসারিত হয়। আগামী দিনে ইলেকট্রনিক-কমার্স ব্যবসায় হবে আর্থনৈতিক লেনদেন সেবা আদান-প্রদান এর সম্ভাবনাময় মাধ্যম। এদেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা বেশিরভাগ  ইলেকট্রনিক-বাণিজ্য এর আওতায় আসবে এবং কর্পোরেট ব্যবসা গুলোও। 

 

ই কমার্স কি এবং কাকে বলে ?

ইলেকট্রনিক-কমার্স বা ই কমার্স কে সংক্ষেপে অনলাইন স্টোর বা ডিজিটাল স্টোর বলা যায়।  অনলাইনে কোনো ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে যেকোনো ধরনের জিনিসপত্র বেচাকেনা করাকে ই-কমার্স বলা হয়।  এই ব্যবসায়িক লেনদেন হয় ব্যবসা-থেকে-ব্যবসায় (B2B),  ব্যবসা-থেকে-ভোক্তা (B2C),  ভোক্তা-থেকে-ভোক্তা (C2C),  বা ভোক্তা-থেকে-ব্যবসা (C2B)।

ইলেকট্রনিক-কমার্স এবং ই-বিজনেস শব্দ দুটি প্রায়ই বিনিময়যোগ্য ভাবে ব্যবহৃত হয়।  ই-টেইল শব্দটি কখনও কখনও অনলাইন খুচরা কেনাকাটা করে এমন লেনদেন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়।  গত দুই দশকে,  অ্যামাজন এবং ইবের  মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের ব্যাপক ব্যবহার অনলাইন খুচরা বিক্রয়ে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। 

ই কমার্স ব্যবসা কি

বর্তমান যুগের ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য,  সেবা ও তথ্য ক্রয়-বিক্রয়, হস্তান্তর বা বিনিময় কার্যকেই  ই কমার্স ব্যবসা  বলে।  ইলেকট্রনিক-কমার্স ব্যবসা আধুনিক ডিজিটাল ব্যবসা পদ্ধতি।  ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসে ক্রেতা-বিক্রেতারা নিজে পণ্যের মান  ও পণ্যের দাম সম্পর্কে জানতে এবং জানাতে পারে ।  এবং বিভিন্ন  ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় করতে পারে।

ইলেকট্রনিক-কমার্স  ব্যবসায়ীরা তাদের  লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে থাকে।  এই ব্যবসার মাধ্যমে যে সকল পণ্য ক্রয় এবং বিক্রয় করা হয় তার পুরোটাই অনলাইন ভিত্তিক।  এবং এর লেনদেন করার জন্য অর্থ এবং ডেটা স্থানান্তর করা হয়। 

ইলেকট্রনিক কমার্স বা ই কমার্স মার্কেটিং কি

মার্কেটিং বলতে আমরা সাধারণত বুঝি কোন পণ্য-সেবা বিজ্ঞাপন প্রচার প্রচারণা করে বিক্রয় করা।  ই-কমার্স মার্কেটিং বলতে বিভিন্ন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে,  প্রধানত বিভিন্ন ই-বাণিজ্য ওয়েবসাইটে পণ্যের বিজ্ঞাপন,  প্রচার-প্রচারণা করাকে বুঝায়। 

ইলেকট্রনিক-কমার্স  মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য কাস্টমার নিয়ে আসা হয়।  এবং ব্যবসাকে সুন্দরভাবে চালিয়ে নেওয়া সহজ হয়।  অনলাইন শপিং,  নিলাম, ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট,  ইন্টারনেট ব্যাংকিং ইত্যাদি অনলাইন সেবা কার্যক্রমগুলো দ্রুত প্রচার ও প্রসার করা সম্ভব হয় ই-কমার্স মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে। 

ই কমার্স এর প্রকারভেদ

ব্যাবসায়িক বিভিন্ন কাঠামো বা সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে ই কমার্সকে প্রধানত চারটি শ্রেণীতে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।  যথাঃ

  • ব্যবসা-থেকে-ব্যবসায় (B2B)
  • ব্যবসা-থেকে-ভোক্তা (B2C)
  • ভোক্তা-থেকে-ভোক্তা (C2C)
  • ভোক্তা-থেকে-ব্যবসা (C2B)

ই- কমার্স এর প্রকারভেদ

১) ব্যবসা-থেকে-ব্যবসায় (B2B)

ব্যবস্যা থেকে ব্যবসায় ই কমার্স কি? খুব সহজ ভাষায় বললে এটি এমন একটি বিজনেস প্রক্রিয়া, যেখানে এক ব্যবসার সাথে অন্য ব্যবসায়ের লেনদেন সংঘটিত হয়। অর্থাৎ প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে থেকে একে অপরের সাথে লেনদেন করতে পারে । এক্ষেত্রে উৎপাদনকারী, পাইকার, খুচরা বিক্রেতাগণ এখানে জড়িত হয়।

২) ব্যবসা-থেকে-ভোক্তা (B2C) 

ইলেকট্রনিক-বাণিজ্য এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীগণ ব্যবসায়ের পন্য ও সেবাসামগ্রী বিক্রয়  করে থাকে।   এক্ষেত্রে(B2B) সিস্টেমে ভোক্তা নানা রকম ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে পণ্য ও সেবা সহ  অন্যান্য পরিসেবা পর্যালোচনা  করতে পারে।  যদি ভক্তগণের পছন্দ হয়  তাহলে  তা অর্ডার করার মাধ্যমে তারা খুব সহজে কোন প্রতিষ্ঠানের থেকে নির্দিষ্ট পণ্য পেয়ে থাকে।  এর সবচেয়ে জনপ্রিয় উদাহরণ  Amazon, alibaba.comএবং  Flipkart  ইত্যাদি।

৩) ভোক্তা-থেকে-ভোক্তা (C2C) 

এই সিস্টেমের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের সেবা পেতে একে অপরের সাথে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে লেনদেন করে থাকে। যেখানে আলাদা কোন সংস্থার সাথে জড়িত হওয়ার প্রয়োজন হয় না। এর উদাহরণ হচ্ছে,  eBay,  Quikr  এবং  Olx ইত্যাদি। এই ওয়েবসাইট খুব সহজে সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য সামগ্রী ক্রয় বিক্রয় করা হয় ।  

৪) ভোক্তা-থেকে-ব্যবসা (C2B)

এই সিস্টেমের মাধ্যমে ভোক্তা থেকে প্রতিষ্ঠানের  সরাসরি ব্যবসায়িক লেনদেন পরিষেবা সরবরাহ করে থাকে। যেমন ফ্রিল্যান্সাররা ব্যবসার জন্য তাদের সেবা, পণ্যসামগ্রী বিভিন্ন সাইটে বিক্রি করে থাকে।  এই রকম আরো অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে,  যেমন:  Freelancer,  Fiverr  এবং  Up work  ইত্যাদি।

বাংলাদেশে ই কমার্স ব্যবসা

সময়ের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা জীবন পরিবর্তন ঘটেছে, তেমনি পরিবর্তন ঘটেছে বাজারের চাহিদার। তাই বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি সুবিধা গ্রহণ করে ব্যবসা পরিচালিত হওয়ার ফলে ই কমার্স কে অন্যতম আধুনিক ব্যাবসা প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে বাংলাদেশের ই-বাণিজ্য সূচনা হয়। যা বাংলাদেশের ব্যবসার ক্ষেত্রকে  অনেক বেশি পরিবর্তন করেছে এবং যুগোপযোগী করেছে। 

  • বাংলাদেশের প্রথম ই-বাণিজ্য ব্যবসা চালু করা হয় ২০০০ সালের দিকে।  ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের অভিযাত্রার ফলে, তথ্য ও যোগাযোগ  প্রযুক্তির সুবিধা শহর হতে গ্রাম বিস্তৃত হয়েছে।
  • সারাদেশে সাড়ে চার হাজারের বেশি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টারের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্যে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি অভিজ্ঞ উদ্যোক্তা কাজ করছে।  এর ফলে এদের আনেকেই  ইলেকট্রনিক-কমার্স  ব্যবসা পরিচালা করতে শুরু করেছে।
  • সারা বিশ্বেই অনলাইন কেনাকাটা অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের ইন্টারনেটের ব্যবহার ও মোবাইলে ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দ্রুত ই-বাণিজ্য এর ব্যবহার  বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অন্যান্য খাতের তুলনায় দ্রুত এটি  সম্প্রসারিত হয়েছে।
  • করোনার সময়ে এক বছরে ২০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয় এ খাতে। দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের নতুন উদ্যোক্তাগণ ই কমার্স কে কেন্দ্র করে তাদের ব্যবসা গড়ে তুলছে। 
  • বর্তমান সময়ে ই-কমার্স হয়ে উঠেছে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা এক নতুন অধ্যায়। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ মানুষের ইলেকট্রনিক-কমার্সে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা-বেচা করছে।
  • এখানে ছোট-বড় মিলিয়ে ৫ লাখের মত উদ্যোক্তা রয়েছে। ৫ বছর আগেও  যা ছিল ১ লাখের ও কম। দেশের ব্যাবসা খাতে ইলেকট্রনিক-বাণিজ্য যুক্ত হওয়ার ফলে গড়ে আয় হয় প্রায়  ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা।
  • ২০১৪ সালের আগে বাংলাদেশের মানুষ ঠিকমতো জানতো না ই কমার্স কি, এর পর থেকে প্রায় গত ৭-৮ বছরে অনলাইনে কেনাকাটা ব্যাপকভাবে শুরু করে।  ২০২০ সালে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ই-কমার্স হয়ে ওঠে অন্যতম ব্যাবসা মাধ্যম। ইলেকট্রনিক-কমার্স দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করে।

বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসা

দেশের জনপ্রিয় -কমার্স সাইট গুলো হলো

ই-কমার্স ব্যবসার নীতিমালা

প্রতিটি ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী তারা পরিচালনা করা হয়।  তেমনি ভাবে বাংলাদেশে ই-কমার্স  নীতিমালা  ২০২২  প্রণয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়নের সাথে ইলেকট্রনিক-কমার্স  ব্যাবসাকে এগিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।  ব্যবসার সাইট গুলো কিভাবে পরিচালিত  হবে তার নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেন ।  এবং এই নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

ই-কমার্স ব্যবসার বিভিন্ন নীতিমালা গুলো সংক্ষেপে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি

  • প্রতিটি  অনলাইন ই-প্লাটফর্ম এ পণ্যগুলো পাবলিশ করার আগে পণ্যের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দিতে হবে ।
  • যেমন,  পণ্যের দাম,  পণ্য সরবরাহ,  ডেলিভারি সময়সীমা নির্ধারণ  এবং ব্যবহার নিয়মাবলি যুক্ত করে দিতে হবে।
  • ডিজিটাল ই-বাণিজ্য সিস্টেমে কোন মাল্টিলেভেল ব্যবসাটা মার্কেটিং করা যাবে না।
  •  কোন ধারনের মাদক পণ্য বিক্রি করা যাবে না।
  • কোন পণ্য ক্রয় বা বিক্রয় করার আগে যদি কোনো গ্রাহকের যেকোনো তথ্য প্রয়োজন হয় ,  তবে তা অবশ্যই গ্রাহকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তারপর সংগ্রহ করতে হবে। 
  • ওষুধ শিল্পের যে কোন ঔষধ জাতীয় পণ্য বিক্রি করার আগে অবশ্যই ঔষধ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।  নতুবা ওষুধ জাতীয় কোনো পণ্য ই প্লাটফর্মে বিক্রি করা যাবে না।
  • যে সকল পণ্য অর্থের বিনিময়ে ব্যবহৃত হয়।  যেমন বিভিন্ন ধরনের গুগল প্লে কার্ড ক্যাশ ভাউচার এগুলো অনলাইন প্লাটফর্ম বিক্রি করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে।  নতুবা যে কেউ এটা বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • যেকোনো অনলাইন পণ্য সাত দিনের মধ্যে ডেলিভারি দিতে না পারলে জরিমানা দিতে হবে।
  • প্রতিটি ইলেকট্রনিক-কমার্স  ব্যবসায়ীকে নির্দিষ্ট লাইসেন্সপ্রাপ্ত হতে হবে।  তার জন্য থাকতে হবে ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সার্টিফিকেট, ভ্যাট নিবন্ধনপত্র ইত্যাদি।
  • যেকোনো ধরনের অবৈধ পণ্য বিক্রি লেনদেন করা যাবে না যদি করে তবে অবশ্যই সেটা রেজিস্টার থাকতে হবে।

ই কমার্স এবং ই বিজনেস এর পার্থক্য

ই-বিজনেস এবং ই কমার্স প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ইন্টারনেট প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। ব্যবসায় মালিকগণ তাদের ডেভেলপমেন্ট এবং সিস্টেমগুলি ডেস্কটপ এবং মোবাইল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে সার্ভার, সিস্টেম পরিচালন এবং উত্তরাধিকার সিস্টেমগুলি সেট আপ করে থাকে। 

মোবাইল, কম্পিউটার, ট্যাবলেট অথবা যেকোনো আধুনিক ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে আনলাইনে বিভিন্ন ব্যবসায়িক পণ্য সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক লেনদেন করার পক্রিয়াকে ই কমার্স বলা হয়। 

ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর বাণিজ্যিক লেনদেন বলতে কোন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির মধ্যে, কিংবা কোন ব্যক্তি ও অন্য ব্যক্তির মধ্যে ডিজিটাল টেকনোলজি সাহায্যে পণ্য ও সেবার বিপরীতে অর্থ লেনদেন করাকে বুঝায়। 

ই-বিজনেস বলতে কোন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়ন্ত্রণাধীন আধুনিক তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর অভ্যন্তরীণ সকল প্রকার লেনদেন ও প্রসেসকে বুঝায়। ইলেকট্রনিক -বিজনেস নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের সীমানার বাইরে কোন প্রকার বাণিজ্যিক নেলদেন বা অর্থ বিনিয়োগের সাথে সংশ্লিষ্ট হয় না।

পরিশেষে

ই কমার্স কি এবং এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থেকে আমরা সহজেই বুঝতে পারি যে, ই কমার্স একটি অনলাইন নির্ভর বানিজ্য যা আমাদের জীবনের অনেক কাজই সহজ করে দিয়েছে। এই বিজনেস এর আওতায় সব ধরনের কাস্টমার থাকে। এখানে ই কমার্স সম্পর্কে আমরা সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।  এবং ব্লগটি সম্পর্কে কোন মতামত বা পরামর্শ থকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে এ জানাবেন।

ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *