উদ্যোক্তা কাকে বলে এবং একজন সফল উদ্যোক্তার গুণাবলী

উদ্যোক্তা কাকে বলে এবং একজন সফল উদ্যোক্তার গুণাবলী

আসলামুআলাইকুম , Blog Academy আপনাদের সবাইকে স্বাগতম জানাই আমি কামরুজ্জামান রিফাত । আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমারা আজকে আলোচনা করবো উদ্যোক্তা কাকে বলে এবং একজন সফল উদ্যোক্তার গুণাবলী সম্পর্কে। তো চলুন শুরু করি আজকের আলোচনা।

উদ্যোক্তা (Entrepreneur) কি?   

“উদ্যোক্তা” বা “Entrepreneur” কি এর ধারাবাহিক কোন সংজ্ঞাই  ছিল না, “উদ্যোক্তা” বা entrepreneur শব্দটি ফরাসি শব্দ entreprendre থেকে উৎপত্তি, যার অর্থ হলো “গ্রহণ করা”। একটি পণ্য, দ্রব্য বা সংগঠন স্থাপনের প্রাথমিক উদ্যোগ যে ব্যাক্তি গ্রহন করে তাকে উদ্যোক্তা বা ইংরেজিতে Entrepreneur বলা হয়।

 উদ্যোক্তা কাকে বলে? 

আসলে উদ্যোক্তার সংজ্ঞা বিভিন্ন ভাবে বলা যায়। কোন একজন ব্যক্তি যখন মানসিক অথবা আর্থিক ঝুকি থাকা সত্বেও একটি নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহন করে থাকে তখন তাকে উদ্যোক্তা বা Entrepreneur বলা হয়। 

একজন উদ্যোক্তা এমন একজন ব্যক্তি যিনি একটি নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন এবং ব্যবসায়ীক যাবতীয় সকল ঝুঁকি একাই গ্রহন করেন এবং বেশিরভাগ ব্যবসায়ীক  লাভ  ও লোকসান হিসাব  করেন। একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার এ প্রক্রিয়াটি উদ্যোক্তা হিসাবে পরিচিত।

উদ্যোক্তারা মূলত একজন উদ্ভাবক হিসেবে কাজ করে থাকেন। একজন উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীক নতুন  নতুন ধারণা, পণ্য, পরিষেবা এবং ব্যবসা/বা পদ্ধতির উৎস সম্পর্কিত সকল বিষয়গুলো নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করে থাকেন।

ব্যবসা বা শিল্পোদ্যোগ(Entrepreneurship) উৎপাদন প্রক্রিয়া ও অথনৈতিক উন্নয়নের প্রধান উপাদান। শিল্পোদ্যোগ অর্থনৈতিক উন্নয়নের সহায়ক কার্যাবলীকে নির্দেশ করে।

শিল্পোদ্যোগ(Entrepreneurship) কি : 

শিল্পোদ্যোগ বলতে একজন ব্যক্তির এমন কর্মদ্যোগ ও গুণাবলীকে বুঝায় যা তাকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু এবং ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট সকল ঝুঁকি বহন করে সাফল্যের দ্বারে পৌঁছাতে সাহয্য করে।

নতুন উদ্যোক্তা কিভাবে সৃষ্টি হয়

নতুন উদ্যোক্তা কিভাবে সৃষ্টি হয়

উদ্যোক্তা কাকে বলে? তা আমারা জেনে ফেলেছি, এবার একটু জেনে নেয়া যাক কিভাবে নতুন উদ্যোক্তা কিভাবে সৃষ্টি হয়– 

১)সফল উদ্যোক্তাদের জীবনের গল্প পড়ার মাধ্যমে

সফল উদ্যোক্তাদের জীবনের গল্প পড়ার মাধ্যমে এবং তাদের জীবনীকে অনুসরণের করার মাধ্যমে সহজেই অনেক ধরনের মন্ত্র জানা যায় নতুন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য। 

দেখা এবং শেখার মন মানসিকতা তৈরি করা, কারণ কোন বিষয়ে যদি সঠিক জ্ঞান না থাকে সেক্ষেত্রে সফল হওয়া অসম্ভব। অবশ্যই কোন কিছুতে সফল হতে হলে আগে সেই বিষয়ে শেখার আগ্রহ একাগ্রতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে থাকতে হবে।  

প্রয়োজনে বিভিন্ন সফল উদ্যোক্তার সফলতার গল্পের বই পরতে হবে। এবং আশে পাশের সফল হয়েছেন এমন উদ্যোক্তাদের কাছে গিয়ে আনেক কিছু দেখে শিখে নিতে হবে নিজে সফল হতে চাইলে।

বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় কয়েকজন সফল উদ্যোক্তা হলঃ

সফল উদ্যোক্তা ছবি
মাহমুদুল হাসান সোহাগমাহমুদুল হাসান সোহাগ
ইলন মাস্কইলন মাস্ক
জ্যাক মাজ্যাক মা
নেইল প্যাটেলNeil-Patel

২)উদ্ভাবনী হয়ে উঠা

মাথায় রাখতে হবে ব্যবসার পরিবেশ প্রতিদিন  নানান  রূপে পরিবর্তন লাভ করে। আজকে যেই আইডিয়া বা কৌশল কাজ করছে তা হয়তো কাল নাও করতে পারে তাই প্রতিনিয়ত নতুন কিছু করার চেষ্টা করতে হবে।

ভাবতে হবে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সেই অনুযায়ী ব্যবসার তাল মেলাতে হবে। যুগের সাথে এগিয়ে যেতে হবে।পৃথিবীতে অনেক ব্র‍্যান্ড আজ অকেজো হয়ে গিয়েছে শুধুমাত্র কিছু ভুল আর যুগের সাথে তাল না মেলাতে পাড়ার জন্য। তাই বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলাটাও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

৩)ঝুঁকি নেয়ার মন মানসিকতা 

ঝুঁকি নেয়ার মন মানসিকতা রাখতে হবে এবং সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে জানতে হবে। একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য বড় গুণ হল, সে জানে কোন ঝুঁকি নিতে হবে এবং কোন ঝুঁকি নেয়া উচিত নয়। 

ঝুঁকি নেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু বিষয় আগে থেকে মনে রাখতে হবে- 

  • ঝুঁকি সনাক্ত করা।
  • নির্দিষ্ট ঝুঁকির জন্য সম্পদের দুর্বলতা মূল্যায়ন করা।
  • সম্পদের উপর সম্ভাবনা, ফলাফলের পরিমাণ, এবং আক্রমণের প্রভাব সম্পর্কে ধারনা। 
  • ঝুঁকি কমানোর উপায় চিহ্নিত করা।

৪)নিজের লক্ষ্যকে দৃশ্যায়ন করতে হবে 

যেমনঃ আমি সফল উদ্যোক্তা হতে চাই। গ্রাহকদের সঠিক, নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধান প্রদান করা যায় এমন বিষয়ের উপর কাজ করে সফল উদ্যোক্তা হতে চাই। তবে আসল কথা হচ্ছে স্বপ্ন আর লক্ষ্য পূরণের প্রক্রিয়া গুলো দৃশ্যায়ন করতে হবে।

৫)মূলধনের উৎস নির্ধারন  করতে হবে 

একজন নতুন উদ্যোক্তা মূলত দুই ভাবে  মূলধন সংগ্রহ করতে পারে যথা : 

আভ্যন্তরীণ উৎস: নিজস্ব তহবিল, পারিবারিক সঞ্চয়, আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সঞ্চয় ইত্যাদি।

বাহ্যিক উৎস: সরকারি ঋণ, শেয়ার বাজার , ব্যাংক ঋণ, ইত্যাদি।

তবে নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে মূলধনের উৎস নির্ধারনে কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখা জরুরী। যদি ব্যাংক লোন নেয়া হয় সেক্ষেত্রে অতি উচ্চমাত্রায় সুদ দিতে হবে । যা কিনা নতুনদের জন্য ব্যবসায় শুরুতে বড় বাধা হয়ে দাড়াতে পারে। 

তাই চেষ্টা করতে হবে যথা সম্ভব মূলধনের উৎস অভ্যন্তরীণ উৎস  হতে সংগ্রহ করার এবং বাহ্যিক উৎস হলে তা যেন সরকারি ঋন খাত নির্বাচন করা হয়।

৬)সঠিকভাবে গ্রাহক নির্ধারন করতে হবে এবং মার্কেটিং করতে হবে

যদি আপনি চান শিশুদের জন্য পন্য তৈরি করে সেটা নিয়ে কাজ করার জন্য সেক্ষেত্রে আপনার এমনটা ভাববেন না যে , আপনার গ্রাহক হচ্ছে ঐ সকল শিশু যাদের জন্য আপনি পন্য তৈরি করছেন । বরং আপনার পন্য শিশুদের জন্য হলেও মূলত আপনার  গ্রাহক হলো ঐ সকল শিশুর জন্য পন্য গুলোর যোগানদাতা, তাদের পিতামাতা, ভাইবোন, সহ বাসার সকল মানুষ। সুতরাং, গ্রাহক নির্ধারনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে।

 ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গ্রাহকের অভিযোগ শোনা এবং সেগুলোর উপর ভিত্তি করে যদি কাজ করা।  সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে গ্রাহক দ্রুত সন্তুষ্টি পাবেন এবং আপনিও সফল হতে পারবেন।

৭)ব্যবসায়ের জন্য একটি প্যার্টান/মডেল থাকা  

অবশ্যই ব্যবসায়ের জন্য একটি প্যার্টান/মডেল থাকা আবশ্যক।  যা ব্যবসা এবং পন্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা নির্দেশ করে। এই বিজনেস মডেল ব্যবসায়ের সফলতার জন্য অন্যতম গুরুপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সর্বোপরি একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উপরের বিষয় গুলোকে অনুসরণ করতে হবে। শুধু মাত্র তাই নয় হতে হবে সৎ এবং গ্রাহককে সম্পূর্ণ সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। তাহলেই একজন নতুন এবং সফল উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব।

একজন সফল উদ্যোক্তার গুণাবলী:

একজন সফল উদ্যোক্তার গুণাবলী

উদ্যোক্তা কাকে বলে? এবং কিভাবে নতুন উদ্যোক্তা কিভাবে সৃষ্টি হয় তা আমারা জেনে ফেলেছি, এবার একটু জেনে নেয়া যাক একজন সফল উদ্যোক্তার গুণাবলী সমূহ ; 

১. শৃঙ্খলাবদ্ধ (Disciplined):

শৃঙ্খলাবদ্ধতা একজন সফল উদ্যোক্তার অন্যতম গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্য । শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যক্তিরা তাদের ব্যবসায়িক কাজ করার দিকে মনোনিবেশ করেন। এবং তাদের লক্ষ্যে যে কোনও বাধা বা বিঘ্ন দূর করার কাজে নিয়োজিত থাকে। সফল উদ্যোক্তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিদিনের পদক্ষেপ নিতে পর্যাপ্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ।

জীবন ও ব্যবসায় সাফল্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ স্ব-শৃঙ্খলা। আপনি যদি নিজের মতো করে নিজেকে অনুশাসন করতে পারেন, তাহলে আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।

২. আত্মবিশ্বাস (Confidence):

উদ্যোক্তা তার ব্যবসায় শুরু করে আত্মবিশ্বাসের সাথে। সে কখনোই তার ব্যবসায় বা উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ থাকে না বরং সফল হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যায়। 

তাই তারা যা কিছু করেন না কেন  তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসী মনোভাব তারা বহন করে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে তারা তাদের কাজে মনোনিবেশ করে এবং সামনে এগিয়ে যায়।

৩. স্ব-উদ্যোক্তা (Self-starter):

উদ্যোক্তারা জানেন যে যদি কিছু করা দরকার হয় তবে তাদের নিজেরাই এটি শুরু করা উচিত। তারা তাদের লক্ষ্য ঠিক করে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তারা তাদের কাজে সর্বদা সক্রিয় থাকে, কারো অনুমতির জন্য তারা অপেক্ষা করে না। 

আপনার মাথায় যদি কোনো আইডিয়া থাকে তাহলে কারো জন্য অপেক্ষা না করে নিজে থেকেই শুরু করুন।একজন সফল উদ্যোক্তার গুণাবলীর মধ্যে  স্ব-উদ্যোক্তা হওয়া ওনেক গুরুপূর্ণ গুণাবলী। 

৪. প্রতিযোগিতামূলক (Competitive):

বর্তমানে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুবই প্রতিযোগিতামূলক। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সফল হতে হলে আপনাকে অন্যের চেয়ে আরও ভাল কাজ করতে হবে। 

অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আরো ভালো মানের মান সম্মত পণ্য বা সেবা প্রদান করতে হবে। তাই একজন উদ্যোক্তাকে সবসময়  প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ধারণ করতে হয়।

৫. সৃজনশীল চিন্তা-ভাবনা (Creative thinking):

একজন উদ্যোক্তা সৃজনশীল মানসিকতাসম্পন্ন হতে হয়। উদ্যোক্তারা যখন তাদের উদ্যোগ শুরু করে তখন নানবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এবং সমস্যার সমাধানের জন্য তাদের সৃজনশীল মানসিকতাকে কাজে লাগিয়ে সমাধান খোঁজে বের করতে হয়।

 এছাড়াও সৃজনশীল চিন্তা ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা শুরু করতে পারে। সৃজনশীলতা একজন উদ্যোক্তাকে অনন্য করে তুলে।

৬. ঝুঁকি গ্রহণ ক্ষমতা (Risk-taking ability): 

একজন উদ্যোক্তা যখন উদ্যোগ গ্রহণ করে তখনই সে ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা নিয়ে তার ব্যবসায় শুরু করে। যেকোনো ব্যবসায় শুরু করলে সেটি লাভবান হতেও পারে আবার ক্ষতিও হতে পারে। তাই উদ্যোক্তাগণ ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা সম্পন্ন হতে হয়।

 তবে উদ্যোক্তারা ঝুঁকি গ্রহণের পূর্বে সঠিক পরিকল্পনা করে তাদের লক্ষ্য ঠিক করেন।তাছাড়া, একজন সফল উদ্যোক্তা জানে যে কখন ঝুঁকি নিতে হয় এবং কোন ঝুঁকিটি সংস্থা বা নিজের পক্ষে উপকারী বা ক্ষতিকারক হবে।

ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা একজন সফল উদ্যোক্তার গুণাবলী হওয়া ওনেক প্রয়োজনীয়। 

৭. দৃঢ় সংকল্প (Determination): 

উদ্যোক্তারা ব্যর্থতাকেই শেষ গন্তব্য মনে করে না বরং তারা ব্যর্থতাকে তাদের সাফল্যের সুযোগ হিসাবে দেখে। তাই তারা তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা সফল করতে সর্বদা বদ্ধপরিকর। কোনো কিছুতে সফল না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের চেষ্টা থামায় না। সফল উদ্যোকারা মনে করেন যে, কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।

৮. নেতৃত্বের দক্ষতা (Leadership Skills):

একজন উদ্যোক্তাকে নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা থাকতে হয়। প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মীদের কাজে উদ্বুদ্ধ করতে এবং তাদের সাথে সঠিকভাবে যোগাগোগ করতে হলে উদ্যোক্তাকে নেতৃত্ব দানের দক্ষতা থাকতে হবে। 

একজন সফল উদ্যোক্তা তার কর্মীদের কীভাবে অনুপ্রেরণা করতে হয় তা জানেন  তাই ব্যবসায় সামগ্রিকভাবে  প্রবৃদ্ধি লাভ করে। 

৯. অধ্যবসায় (Persistence):

অধ্যবসায় হলো একজন সফল উদ্যোক্তার সবচেয়ে মৌলিক এবং প্রয়োজনীয় গুণ। এটি একটি অনিবার্য গুণ যা জীবনের সমস্ত দুর্দান্ত সাফল্যের চাবিকাঠি। একজন সফল উদ্যোক্তা প্রায়শই অফিসে পৌঁছে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এবং সবার শেষে অফিস থেকে কাজ শেষ করে বের হন। 

উদ্যোক্তারা তাদের কাজের প্রতি এতই অধ্যবসায় থাকেন যে কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে লেগে থাকেন। তারা কখনো আজকের কাজ আগামীকালের জন্য রেখে দেয় না।

একজন সফল উদ্যোক্তার গুণাবলীর মধ্যে অধ্যবসায়ী অত্যাবশ্যকীয়। 

১০. প্যাশন (Passion):

একজন সফল উদ্যোক্তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গুণ হল প্যাশন। উদ্যোক্তার যে কাজকে ভালোবাসেন সেটিই করেন। তিনি যে কাজ করে আনন্দ পান সেটিই করেন। সুতরাং একজন উদ্যোক্তা তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তার কাজের প্রতি প্যাশন থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  

উদ্যোক্তার মনে উদ্দীপনা তৈরি হওয়া শুরু হয় যখন সে তার কাজকে ভালোবাসেন এবং  সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন।

একজন সফল উদ্যোক্তার গুণাবলী গুলো মেনে চলতে পারলে অবশ্যই একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রিতিষ্ঠা করা সম্ভব।

উপসংহার

তাহলে  আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা শিখলাম উদ্যোক্তা কাকে বলে এবং একজন সফল উদ্যোক্তার গুণাবলী সম্পর্কে। আমার এই আর্টিকেল যদি আপনারদের কাছে ভালো লাগে তাহলে নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন। এবং কমেন্ট বক্সে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত  এবং মনে কোন প্রকার প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *