মোবাইল ফোনের ব্যবহার করে না এ যুগে এমন কাউকে কল্পনা করা ও অর্থহীন। আসলামুআলাইকুম, Blog Academy এর পক্ষ হতে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। টাইটেল দেখেই বুঝতে পারছেন আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় কি হতে পারে? আজকের লেখায় মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হবে ইনশাল্লাহ।
মোবাইল ফোনের ব্যবহার করেনা এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যায় এখন। বিনোদন, কাজ-কর্ম, যোগাযোগ, সামাজিক কর্মকাণ্ড ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন এর ব্যবহার করা হচ্ছে । বর্তমান সময়ে একটি স্মার্টফোন ছাড়া মানুষ নিজের জীবন কল্পনাও করতে পারে না। তবে, আগেরকার দিনে মানুষ ব্যবহার করতো ছোট ছোট আকারের মোবাইল, সে সব মোবাইল ফোন কেবল কথা বলা, বার্তা প্রেরন ইত্যাদি সাধারণ কাজে ব্যবহার করা হত।
কিন্তু বর্তমানে, মোবাইল ফোন বলতে মূলত সেই সকল শক্তিশালী স্মার্ট ফোন ডিভাইস গুলোকে বোঝানো হয়, যা একটি কম্পিউটার এর মতো শক্তিশালী ফোন যা দ্বারা মনোরঞ্জন, ভিডিও কলিং, টেক্সট , নোট, মাল্টিটাস্কিং, গেমিং, ইন্টারনেট ব্যবহার ইত্যাদি সহ প্রচুর কাজ করা সম্ভব যেগুলো মানুষ কখনো কল্পনাও করতে পারেনি।
এটা বললে ভুল হবেনা যে, মোবাইল ফোন আজ আমাদের জীবন অনেক সহজ করে দিয়েছে। কেননা, আমরা আমাদের মোবাইলের মাধ্যমে যে কোনো সময় যে কোনো কাজ করতে পারছি। বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারে এতই ব্যপক যে তালিকা অনেক টাই বড়, যা বলে শেষ হবে না।
মোবাইল ফোনের ব্যবহার হয় কি কি কাজে তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা
- মোবাইল যোগাযোগের মাধ্যম
- শিক্ষা ও গবেষণা
- টেক্সট এবং নোট
- ছবি এবং ভিডিও
- বিনোদন
- জিপিএস (GPS)
- ইন্টারনেট
- মাল্টিটাস্কিং
- গেমিং
- ভিডিও কলিং
- মোবাইল ব্যাংকিং
- লাইভ টিভি
- মোবাইল দিয়ে ইনকাম
- এপ্লিকেশন (apps)
- অনলাইন শপিং
- রিচার্জ এবং বিল পেমেন্ট
- রিমোট ওয়ার্কিং (Remote working)
- খবর (news)
- টর্চলাইট (Flash light)
- চিকিৎসা সেবা
এখন চলুন, নিচে আমরা মোবাইলের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।
আকার ছোট এবং সুবিধাজনক
মোবাইল ফোন এর আকার অনেকটাই ছোট হয় বলে আমরা মোবাইল পকেটে বা হাতে নিয়ে চলাচল করতে পারি সহজেই। আমাদের pocket বা bag এর মধ্যে অনেক সহজেই মোবাইল ফোন রাখতে পারি।
আর তাই, প্রয়োজন হিসেবে যেকোনো সময় নিজের মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করাটা সম্ভব। আবার,মোবাইলের মধ্যে rechargeable battery থাকে যার ফলে ঘর থেকে এক বার ভালো করে চার্জ দিয়ে রাখলে বেশি সময় এর ব্যবহার করতে পারবেন।
কখনো যদি আপনার মোবাইলের ব্যাটারীর চার্জ কমে যায় বা শেষ হয়ে যায়, তাহলে নিজের গাড়ি, মোটর বাইক বা যেকোনো ইলেক্ট্রিক্যাল আউটলেট মাধ্যমে একটি ডাটা কেব্ল বা চার্জার এর মাধ্যমে মোবাইলের ব্যাটারী আবার চার্জ করে নিতে পারবেন খুব সহজে।
মোবাইল যোগাযোগের মাধ্যম
মোবাইল ফোনের সর্ব প্রথম এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার হলো,“মোবাইল ফোন যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম”মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের এক জায়গা থেকে অন্য আর এক জায়গাতে অবস্থান করা আমাদের বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের সদস্য, প্রিয়জন এমনকি আমাদের সহকর্মী দের সাথে বা প্রায় সকলের সাথেই অতি দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি।
বর্তমান সময়ের প্রচলিত আধুনিক মোবাইল গুলো ব্যবহার করে আমরা ভয়েস কলিং এর সাথে সাথে লাইভ ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকি। তাই, আমরা আমাদের থেকে অনেক দূরে থাকা ব্যক্তি বা প্রিয়জনকে ভিডিওর মাধ্যমে দেখে সংযোগ স্থাপন করে ভালো যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারছি।
শিক্ষা ও গবেষণায় মোবাইল ফোনের ব্যবহার
আমরা জানি বর্তমান সময়ে নতুন নতুন কোন কিছু শিখার ক্ষেত্রে বা গবেষণার ক্ষেত্রে মোবাইল এর ব্যবহার অনেক বেশি হয়ে থাকে। আজকাল যেকোনো নতুন জিনিস শিখতে চাইলে আমরা আমাদের মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ করে ভিডিও বা আর্টিকেল দেখে সেটা শিখার চেষ্টা করি বা সে বিষয়ে জ্ঞান অন্বেষণ করে থাকি।
নিতুন কিছু জানতে, সে বিষয়ে গবেষণা করার ক্ষেত্রে মোবাইল এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার করে স্কুল এবং কলেজে মোবাইলে ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস করেও পড়ালেখা করা সম্ভব হচ্ছে।
অনলাইন ক্লাস করা ছাড়াও কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইলের মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাবস্থা করে ও পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। তাই, এখনকার শিক্ষার্থীদের জন্যেও মোবাইল ফোন একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস হিসেবে গ্রহণীয় হয়ে উঠেছে। তাই আজকাল শিক্ষা ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার অপরিহার্য্য ভুমিকা পালন করছে।
যদিও এর কিছু নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে, তবে মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার করতে হবে।
টেক্সট এবং নোট
আজকাল মোবাইলে আলাদা আলাদা বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্ড এবং টেক্সট প্রসেসিং এপ্লিকেশন থাকে, সেসব ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন ধরণের লেখালেখি কাজ গুলো করতে পারি। যেমন, নোট তৈরি করা, এক্সেল বা ওয়ার্ড ফাইল এডিট করা বা তৈরি করা , আর্টিকেল লিখা, জরুরি হিসাব করা, তালিকা বানানো ইত্যাদি।
যেকোনো জায়গাতে বসে আপনি নিজের মোবাইল ব্যবহার করে জরুরি প্রেসেন্টেশন, এক্সেল বা ওয়ার্ড ফাইল গুলোকে এডিট করতে পারবেন। তাই, ব্যবসায়িক কাজের ক্ষেত্রেও একটি মোবাইল ডিভাইস কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
ছবি এবং ভিডিও রেকর্ডে এ মোবাইল ফোনের ব্যবহার
সুন্দর সুন্দর ছবি তোলা এবং ভিডিও রেকর্ড বর্তমান সময়ে আমাদের সকলের কাছে অনেক শখের বা আনন্দের এবং প্রয়োজনীয় বিষয় হয়েছে দাঁড়িয়েছে। এমন কি আমাদের মাঝে প্রতিযোগিতা করে ফেলি কে কত সুন্দর করে ছবি ও ভিডিও ক্যাপচার করতে পারি।
কেননা, আমাদের হাতে একটি স্মার্টফোন থাকলে এর মাধ্যমে আমরা DSLR এর মতোই স্পষ্ট এবং হাই কোয়ালিটি সুন্দর সুন্দর ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে পারছি। তাই, আজ প্রফেশনাল সুন্দর সুন্দর ছবি তুলার জন্য এবং প্রফেশনাল ভিডিও রেকর্ড করার জন্য আমাদের একটি স্মার্টফোন যথেষ্ট ।
এছাড়া, ছবি বা ভিডিও ক্যাপচার করার পরে এগুলো ইমেইল,ম্যাসেজিং, ব্লুটুথ বা ইন্টারনেট এ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ ওয়েব সাইটে অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে শেয়ার করতে পারি খুব সহজেই। এসব ফটো এবং ভিডিও গুলোকে প্রফেশনাল ভাবে এডিট করতেও আমরা মোবাইলের ব্যবহার করতে পারি।
এখনকার আধুনিক স্মার্টফোন গুলোতে দারুন হাই কোয়ালিটি ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে যার ফলে লোকেরা আজ ডিজিটাল ক্যামেরা কি সেটা ভুলেই যেতে বসেছে।
বিনোদন এর জন্য মোবাইল ফোন
আজকাল একটি স্মার্টফোন এর ব্যবহার মূলত বিনোদন এর ক্ষেত্রেই বেশি করা হয়। এখন কার মোবাইল গুলো হয়ে থাকে ৫ ইঞ্চি থেকে ৬ ইঞ্চি বড় এবং ফুল HD screen যেগুলোতে সব ধরনের ভিডিও গান , নাটক ,বা সিনেমা দেখার মজাই আলাদা।
এখন আর আগেকার সময়ের মতো একটি সিনেমা দেখার জন্য ডিভিডি প্লেয়ার, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ চালাতে হয়না। আমাদের মোবাইল ফোনেই আমরা সবটা যেকোনো সময় দেখে নিতে পারি।
ভিডিও এবং সিনেমা দেখা ছাড়া গান শুনা, লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং, হাই গ্রাফিক্স গেমিং, অনলাইন চ্যাটিং, ইন্টারনেট মাধ্যমে বন্ধুত্ব করা ইত্যাদি বিভিন্ন ভাবেই মোবাইলের মাধ্যমে আমাদের মনোরঞ্জন হয়ে থাকে।
জিপিএস (GPS)
এখন প্রতিটি স্মার্টফোন এর মধ্যেই জিপিএস (GPS) Global Positioning System এর সুবিধা প্রদান করা হয়। আর আমরা আমাদের মোবাইল থেকে যেকোনো জায়গা, রাস্তা, হোটেল, বিল্ডিং ইত্যাদি এই GPS এর মাধ্যমেই খুঁজে পেতে পারি খুব দ্রুত।
বর্তমান মোবাইল ফোন গুলোর মধ্যে Google maps এর মতো অসাধারণ কিছু এপস দেওয়া হয় যেগুলোর দ্বারা GPS এর মাধ্যমে কোন লোকেশন বা রাস্তা খুঁজতে সাহায্য করে থাকে। তাই,আপনি কখনোই কোনো নতুন জায়গায় হারিয়ে যাবেন না, যদি আপনার কাছে একটি স্মার্টফোন থাকে।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট এর ব্যবহার
কিছু বছর আগে ইন্টারনেট শব্দটি বললে কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ ছাড়া এর কল্পনা করা কঠিন ছিলো। কেননা, আগেকার সময়ে ইন্টারনেট এর ব্যবহার কেবল একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর দ্বারা সম্ভব ছিল।
কিন্তু আজ আমরা আমাদের মোবাইলের মাধ্যমে পুরো ২৪ ঘন্টা ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত থাকতে পারছি। বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বন্ধু বানানো, নতুন নতুন মানুষের সাথে কথা বলা, অনলাইনে কেনা-কাটা করা, অনলাইনে বিভিন্ন প্রোডাক্ট সেল পোস্ট করে বিক্রয় করা,চ্যাটিং, ভিডিও ক্যালিং, অনলাইনে ভিডিও দেখা ইত্যাদি সব কিছুই আমরা আমাদের মোবাইলের মাধ্যমে করতে পেরছি খুব সহজে।
বিভিন্ন online multiplayer games গুলো আমরা ঘরে বসে বসে বন্ধু দের সাথে একসাথে খেলতে পারছি আজকাল মোবাইলে ইন্টারনেটের ব্যবহার এর মাধ্যমে।
মাল্টি-টাস্কিং
বর্তমান সময়ের মোবাইল ফোনের প্রযুক্তি এত বেশি উন্নত এবং আধুনিক যে একটি কম্পিউটারের মতোই শক্তিশালী একটি মোবাইল। তাই, আমরা সাধারণত যে সকল কাজ কম্পিউটারের সাহায্যে করতাম সেগুলো আজ মোবাইল ডিভাইস এর দ্বারাও করা সম্ভব।
এখন কার মোবাইল গুলোতে কম্পিউটারের মতোই শক্তিশালী প্রসেসর,অধিক র্যাম ( RAM), বেশি ইন্টারনাল স্টোরেজ স্পেস এবং গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট রয়েছে।
যার ফলে আমরা আমাদের মোবাইলের মাধ্যমে কঠিন কাজ গুলো করার সাথে সাথে একসাথে অনেক কাজ করতে পারি। যেমন,গান শুনতে শুনতে ইন্টারনেট এর ব্যবহার, ভিডিও দেখতে দেখতে মেসেজ করা, একধিক এপ্লিকেশন গুলোকে এক সাথে ব্যবহার করতে পারি ইত্যাদি।
গেমিং
এখন আর আগের মত দিন নাই ,যখন ভালো ভালো হাই গ্রাফিক্স গেমস গুলো শুধু কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর মাধ্যমেই খেলা সম্ভব ছিল। কারণ, এখনের স্মার্টফোন গুলো অনেক শক্তিশালী যে জন্য এই ফোনের মাধ্যমে দারুন হাই গ্রাফিক্স গেম গুলো খেলা সম্ভব হচ্ছে।
আজ ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেই মোবাইল ফোনে তাদের হাই গ্রাফিক্স গেমস গুলো খেলতে পারছেন। এখনকার প্রায় সব আধুনিক মোবাইল ডিভাইস গুলো মূলত গেমিং পারফম এর ওপরেই ফোকাস করে বাজারজাত করা হচ্ছে।
শুধু মাত্র একটি মোবাইলের মাধ্যমে এত আধুনিক এবং অ্যাডভান্স গেমিং পারফম পাওয়া যাবে বলে আগে কখনো কল্পনা করেনি মানুষ। তাই,আপনি যদি গেম খেলতে পছন্দ করেন তাহলে গেমিং এর জন্য আলাদা করে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না কিনে একটি ভালো মোবাইল ফোন থাকলেই চলবে।
ভিডিও কলিং
আজকাল ফ্রন্ট এবং ব্যাক দুটো ক্যামেরা দেওয়া থাকে মোবাইলের মধ্যে। আর এই ফ্রন্ট ক্যামেরার ব্যাবহার করেই আমরা ভিডিও কলিং করতে পারি। আগেকার সময় যে মোবাইল ব্যাবহার করা হতো তাতে কেবল ভয়েস কলিং এবং টেক্সট বার্তা পাঠানো সম্ভব ছিল। কিন্তু আজ আমরা যে সকল মোবাইল ব্যাবহার করি তা লাইভ ভিডিও কলিং করে প্রিয়জনের সাথে কথা বলতে পারছি।
লাইভ টিভি
আজকাল আমাদের স্মার্টফোন গুলোতে আমরা টিভি (TV) দেখতে পারি। আমরা আমাদের মোবাইলে প্রায় সব টিভি চ্যানেল গুলোকে ইন্টারনেট সংযোগ করে লাইভ দেখে নিতে পারছি। মোবাইলের স্ক্রীন আকার অনেক বড় এবং HD হওয়ার ফলে, মোবাইল এর মাধ্যমে যেকোনো জায়গার থেকে টিভি দেখাটা আজ অনেক সহজ একটি ব্যাপার।
মোবাইল ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার
যদি আপনার কাছে একটি মোবাইল ফোন থাকে, তাহলে ঘরে বসে বসে ব্যাংকে না গিয়ে মোবাইল ব্যাংকি এর মাধ্যমে প্রায় সকল ব্যাংক transaction গুলো করতে পারবেন।
এখন মোবাইলের মাধ্যমে ব্যাংক হতে টাকা পাঠানো, টাকা উত্তোলন , NEFT, ডেবিট কার্ড এপ্লাই, চেক বুক এপ্লাই সবকিছু করা সম্ভব হইতেছে।একবার ভেবে দেখুন, একটি মোবাইল ডিভাইস এর ব্যবহার এর মাধ্যমে আপনি আপনার কতটা সময় বাঁচিয়ে নিতে পারছেন।
এপ্লিকেশন (apps)
একটি মোবাইলের মাধ্যমে ও আমরা বিভিন্ন ধরণের কাজগুলো করতে পারি আজ কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মতোই । আমরা মোবাইলে বিভিন্ন এপস (apps) গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রত্যেক আলাদা আলাদা ধরণের কাজ গুলো করতে পারি সহজে।
আজ মোবাইলে শুধু মাত্র একটি এপ্লিকেশন ইনস্টল করে প্রায় সব কাজ মোবাইলের মাধ্যমে করে ফেলতে পারি আমরা। ভয়েস রেকর্ডিং, ভিডিও এডিটিং, স্ক্রিন রেকর্ডিং ,একাউন্টিং ইত্যাদি প্রায় ধরনের কাজ করার জন্য বিভিন্ন এপস রয়েছে।
তাই, বলা যায় মোবাইলের গুরুত্ব অনেকটাই বেশি, কেননা আমরা সহজে বিভিন্ন ধরণের দরকারি কঠিন সব কাজ গুলো মোবাইল থেকেই করে ফেলতে পারছি।
অনলাইন শপিং এ মোবাইল ফোনের ব্যবহার
বর্তমানে লোকজন বাজারে গিয়ে কোন কিছু কেনা-কাটা করার তুলনায় ঘরে বসে অনলাইনে শপিং করাটা বেশি পছন্দ করছে । অনলাইনে শপিং এর জন্য মূলত ইন্টারনেট এর ব্যবহার করে থাকি, যদিও এক্ষেত্রে মোবাইলের ভূমিকা কিন্তু অনেক বেশি রয়েছে।
আমরা প্রথমে নিজের মোবাইলের ইন্টারনেট ব্রাউজার এর মধ্যে সেই জিনিসটি সার্চ করে থাকি যখনি কোনো জিনিস অনলাইনে কিনে নিতে চাই।এছাড়া,আমরা আমাদের মোবাইল থেকেই করে থাকি প্রয়োজনীয় জিনিসটি অর্ডার করা থেকে শুরু করে ডেলিভারি ট্র্যাকিং সব কিছু। তাই, একটি মোবাইল ফোনের ব্যবহার অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ অনলাইন কেনা-কাটা করার ক্ষেত্রে ।
রিচার্জ এবং বিল পেমেন্ট
যখন মোবাইল, DTH ইত্যাদি রিচার্জ করার ক্ষেত্রে আমাদের দোকানে দোকানে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো আগের সেই দিন এখন আর নেই , এখন মোবাইলে রিচার্জ এবং বিল পেমেন্ট এর কাজ গুলো খুব সহজেই যে কোন মানুষ নিজের মোবাইল থেকেই করে ফেলতে পারেন।
কেবল মোবাইল বা DTH না তবে, বিদ্যুৎ,পানি, গ্যাস বিল সহ বিভিন্ন ধরণের বিল পেমেন্ট গুলো আমরা আজ আমাদের মোবাইল থেকে খুব সহজেই করতে পারছি।
রিমোট ওয়ার্কিং (Remote working)
আমি অনেক আগেই বলেছি ,মোবাইল ডিভাইস গুলো একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ মতোই শক্তিশালী। কেননা, মোবাইল ফোন গুলোতেও কম্পিউটারে এর মতো শক্তিশালী প্রসেসর, রেম, এবং রম ব্যবহার করা হয়।
আর সে জন্য অনেক কঠিন এবং ভারী কাজ গুলো নিজের মোবাইল ডিভাইস থেকে করাটা আজ সম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অনেকেই অফিস এর বাইরে বসে বা নিজের ঘর থেকে বা যেকোনো অন্য জায়গার থেকে নিজের কাজ গুলো মোবাইল এর মাধ্যমে রিমোট ভাবে করে ফেলতে পারেন অনায়াসে।
খবর (news)
সকালে ঘুম থেকে উঠে বা বিকেলে যদি সমসাময়িক লেটেস্ট সব খবর পড়ার অভ্যেস থাকে আপনার, তাহলে এক্ষেত্রেও মোবাইল আপনার অনেক কাজে আসবে। কেননা, আজকাল সব লেটেস্ট খবর পেতে হলে যেকোনো সময় নিজের মোবাইলের মাধ্যমে খবর জেনে নিতে পারবেন।লাইভ নিউজ চ্যানেল, ইউটিউব, নিউজ ওয়েবপেজ, নিউজ ওয়েবসাইট, এবং বিভিন্ন নিউজ এ্যাপস ইত্যাদি গুলোর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে তাজা খবর আপনি খুব সহজেই পেতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে ইনকাম
আজকাল আমরা যখন ঘরে বসে টাকা আয় করার কথা চিন্তা করি, তখন একটি মোবাইল ফোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেকেই এখন মোবাইলে বিভিন্ন ধরণের এপস গুলো ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করছেন।
মোবাইলে বিভিন্ন কাজ করে ইউটিউব থেকে টাকা আয়, ব্লগিং করে টাকা আয়, ক্যাপচা এন্ট্রি, ডাটা এন্ট্রি সহ বিভিন্ন কাজ করে অনলাইনে ইনকাম করছে বর্তমানে অনেকেই। তাই, বর্তমান সময়ে পার্ট-টাইমে কাজ করে ইনকাম করার ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোন অনেক ভূমিকা পালন করছে ।
অনলাইনে ইনকাম এর বিভিন্ন মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আমাদের পূর্ববর্তী লেখায়।
টর্চলাইট (Flashlight)
ভাবতে গেলে এটি অনেক সাধারণ একটি জিনিস যদিও কিন্তু বিভিন্ন সময়ে এই সাধারণ জিনিস আপনার অনেক কাজে এসে থাকে। এক সময় অন্ধকারের মাঝে চলাফেরা করতে হলে আমাদের আলাদা করে একটি টর্চটাইট সাথে নেওয়ার প্রয়োজন পরতো।
কিন্তু বর্তমানে প্রায় সব মোবাইল ফোন গুলোতে টর্চলাইট এর সুবিধা থেকে থাকে যার জন্য অন্ধকারে কিছু খোজার জন্য বা অন্ধকারে চলার পথে রাস্তায় আপনার অনেক সাহায্য হয়ে থাকে। আর মোবাইলে এই টর্চ লাইট থাকার ফলে আলাদা ভাবে কোন টর্চ রাখার ঝামেলা করতে হয়না।
এখন আপনি নিশ্চয়ই জেনে গেছেন যে মোবাইল ফোনের ব্যবহার করে আধুনিক যুগে কি কি কাজ করা হয়ে থাকে। যদিও মোবাইল ফোনের ব্যবহার এর ইতিবাচক দিক রয়েছে বেশি তবে এর পাশাপাশি রয়েছে অনেক নেতিবাচক প্রভাব। এ জন্য আমাদের উচিত হবে মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার করা।