আসসালামু আলাইকুম, Blog Academy এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। পূর্ববর্তী(Before) পোস্টে আমরা Online career, Freelancing, Outsourcing ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আজ আমি মানব জীবনের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক চাহিদা গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি খাদ্য সম্পর্কে কিছু জানা বিষয় পূনরায় আলোচনা করবো। মূলত আজকে আমরা জানবো খাদ্য কি, খাদ্য উপাদান , খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা কি এবং সাধারনত খাদ্যের প্রকারভেদ।
খাদ্য কি(What is food)
দেহ গঠন, ক্ষয় পূরণ এবং শক্তি উৎপাদনে যেসব জৈব উপাদান কাজ করে সেগুলোই খাদ্য। সাধারনভাবে আমাদের শরীরের কার্যাবলী সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার জন্য এবং শরীর সুস্থ, সবল ,সতেজ রাখার জন্য যেসব খাদ্য আমাদের প্রতিনিয়ত খেতে হয় সেগুলোই খাদ্য।
খাদ্য উপাদান (Food ingredients)
খাদ্য যে সকল রাসায়নিক পদার্থ বিদ্যমান থাকে তা মানব দেহের এক বা একাধিক কাজ সম্পন্ন করতে পারে , খাদ্যের এ সকল রাসায়নিক পদার্থকে খাদ্য-উপাদান বলে। খাদ্য ছ’টি উপাদান নিয়ে গঠিত , যথা-
- শর্করা
- আমিষ বা প্রোটিন
- স্নেহপদার্থ
- ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ
- খনিজ লবণ
- পানি
খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা কি(What are the food requirements)
দেহের বৃদ্ধি, শক্তি ও বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটি প্রাণীর খাদ্য অপরিহার্য। মানবদেহকে সুস্থ-সবল রাখার জন্যও খাদ্য অপরিহার্য। তাই আমাদের খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা অর্জন করা উচিত। আমিষ, শর্করা, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি জৈব-যৌগ আমরা খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করি। আর এ সকল খাদ্য থেকে আমরা পুষ্টি পাই। শরীরের যথাযথ বৃদ্ধি সাধন এবং শরীরকে সবল রাখার জন্য সঠিক পরিমানে উপযুক্ত খাবার খাওয়া খুবই জরুরী।
উদ্ভিদ ও প্রাণী থেকে আমরা মূলত খাদ্য পেয়ে থাকি। মূলত বয়স, দেহের উচ্চতা ও দেহের ওজনের ওপর একজন মানুষের গড়ে প্রতিদিন কতটুকু খাবার গ্রহনের প্রয়োজন তা নির্ভর করে। তবে যারা শারীরিক ভাবে অধিক পরিশ্রম করে তাদের বেশি পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয়। এজন্য তাদেরকে বেশি পরিমাণ সুষম খাদ্য খাওয়া প্রয়োজন।
সতেজ থাকতে খাদ্যের পাশাপাশি সতেজ থাকার কিছু কৌশল ও প্রয়োগ করতে হয়। আমরা আলোচনা করেছিলাম সতেজ থাকার উপায় সম্পর্কে।
খাদ্যের সাধারন প্রকারভেদ(General types of food)
খাদ্য দুই প্রকার। যেমন-
- দেহ-পরিপোষক খাদ্য
- দেহ-সংরক্ষক খাদ্য
দেহ-পরিপোষক খাদ্য
দেহ-পরিপোষক খাদ্য হল সেসব খাদ্য যেগুলো খেলে জীবদেহের গঠন হয়, শরীর বৃদ্ধি পায় এবং শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে। দেহ-পরিপোষক খাদ্য যেমনঃ স্নেহ পদার্থ, আমিষ বা প্রোটিন এবং শর্করা। এসব খাদ্য খেলে জীবদেহের গঠন হয়, শরীর বৃদ্ধি পায় এবং শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।
দেহ-সংরক্ষক খাদ্য
দেহ-সংরক্ষক খাদ্য হল সেসব খাদ্য যেগুলো খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এসব খাদ্য শক্তি উৎপাদনে সহায়ক না। দেহ-সংরক্ষক খাদ্য যেমনঃ ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ। এসব খাদ্য খেলে জীবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।।
আমাদের শেষ কথা
খাদ্য কি এবং খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, আমাদেরকে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের পুরো পোস্টটি পরার জন্য।
ধন্যবাদ
Thanks for your messaging us.
Best Regards
FriendsITpoint