আসসালামু আলাইকুম, Blogacademy এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়ঃ কাজু বাদামের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম।
ভূমিকা:
আমাদের সকলেই সকল বয়সের মানুষ কাজু বাদাম খেতে ভীষন ভালোবাসি। কেক, বিস্কিট, চকোলেট জাতীয় সকল ফ্রুটস এ কাজু বাদাম ড্রাই ফ্রুটস উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয়। খাদ্যে খুব অল্প পরিমান কাজু বাদাম ব্যবহার, খাদ্যের স্বাদ অনেকাংশে বৃদ্ধি করে তোলে।
তাছাড়া শরীরের পুষ্টিগত চাহিদা বৃদ্ধি করতে কাজু বাদামের ভূমিকার কোনো তুলনা হয় না। কাজু বাদামে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা শরীরের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কাজু বাদামে ভিটামিন এর পরিমান বেশি পরিমাণে থাকে।
কাজু বাদাম এর সকল গুনগত মানের উপর ভিত্তি করে অনেকে কাজু বাদামকে প্রকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট বলে থাকে। শুধুমাত্র খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য কাজুবাদাম খাওয়া হয় তা কিন্তু নয়। কাজু বাদামের রয়েছে অনেক গুনগত মান।
কাজু বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমান ক্যালোরি। ডায়েটিশিয়ান, নিউট্রিশিয়ান এবং সকল ডাক্তার শরীরের জন্য ড্রাই ফ্রুটস উপাদান হিসেবে কাজু বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া যারা ডায়েট কন্ট্রোল করছেন, ওজন কমাবার জন্য তাঁদেরকেও কাজুবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তারা।
কাজুবাদামের সংক্ষিপ্ত পুষ্টিগুন:
কাজুবাদাম অন্য সকল বাদামের থেকে অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। যা শরীরের গঠন পুষ্টির চাহিদা যোগান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কাজু বাদামে রয়েছে নানাবিধ পুষ্টি উপাদান। যেমন ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, তামা, দস্তা, আয়রন, ফসফরাস সেলেনিয়াম, থায়ামিন, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬।
- প্রায় ২৮.৩ গ্রাম কাজুবাদামে ১৫৭ গ্রাম ক্যালরি,
- ৫.১৭ গ্রাম প্রোটিন,
- ১২.৪৩ গ্রাম ফ্যাট,
- ৮.৫৬ গ্রাম শর্করা,
- ০.৯ গ্রাম ফাইবার,
- ১.৬৮ গ্রাম চিনি পাওয়া যায়।
কাজু বাদামের বিভিন্ন পুষ্টিগুন গুলো বিস্তারিত জেনে নিন এখান থেকে।
কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম :
কাজু বাদাম কিভাবে কখন খাবেন অথবা কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম মূলত আপনার বয়স, শারীরিক অবস্থা, খাওয়ার ধরন এসবের উপর নির্ভর করে থাকে। আর সঠিক নিয়ম মেনে কাজুবাদাম খেলে,এর সঠিক পুষ্টিগুন পুরোপুরি পাওয়া সম্ভব।
- দুই বছরের কম বা ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সাবধানতার সাথে, অন্য কোন খাবারের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ১ বার অথবা সপ্তাহে ৩ বার করে ১০ হতে ১৫ টি কাজুবাদাম খাওয়াতে পারেন।
- আবার ২ বছরের বড় বাচ্চাদের জন্য প্রতিবার ২০ হতে ৩০ টি কাজু বাদাম খাওয়ানো যায়। ঐ বয়সের বাচ্চাদের সপ্তাহে ৩ বার ৫০ গ্রাম পরিমান প্রতিবারে ৩০ টি কাজুবাদাম খাদ্যের তালিকায় রাখতে হবে।
- গর্ভবতী মহিলাদের জন্য দৈনিক ১০ গ্রাম হতে ৫০ গ্রাম বা ৩৫ হতে ৬৫ টি কাজু বাদাম খাদ্যের তালিকায় রাখা উচিত। আর যদি বেশি হয়ে যায় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সপ্তাহে ২/৩ বার কাজুবাদাম খেতে হবে।
- প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৫০ হতে ৭০ গ্রাম বা ৩০ হতে ৩৫ টি কাজু বাদাম খাওয়া দরকার যা তাদের শরীরের জন্য যথেষ্ট প্রয়োজনীয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য প্রতিবারে নিয়ম করে কাজু বাদাম খেলে সঠিক পুষ্টিগুন পাওয়া সম্ভব।
আর যদি শরীরের ওজন কমানোর জন্য কাজুবাদাম খেয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে সকাল ১১–১২ টার মধ্যে খেতে হবে। আর বিকালে খেলে বিকাল ৪–৫ টা সময়ে খেলে ভালো হয় শরীরের জন্য। আপনাদের যে সময়ে ক্ষুধা লাগে কাজু বাদাম খেতে পারেন এতে ক্ষুধাও মিটবে আবার পুষ্টি ও পাওয়া যাবে। আপনার ওজনও ঠিক থাকবে। এতে ডায়েট কন্ট্রোল করা সহজ হবে।
আর প্রতিদিন রাতে ভিজিয়ে সকালে খাবেন নিয়ম মেনে পরিমাণ মত সঠিক নিয়মে।
কাজু বাদামের উপকারিতা:
শরীরের উপকারিতা ও পুষ্টিগত দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় অন্যান্য বাদামের তুলনায় কাজু বাদামের উপকারিতা কোনো অংশে কম নয়। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে কাজু বাদাম রাখলে তা সুস্থ রাখতে পারে আপনাকে। ডাক্তারদের ভাষ্য মতে, অন্য সকল ফলের মতো কাজু বাদাম হলো সবচেয়ে বেশি গুনাগুণ সম্পর্ন ফল।
কাজু বাদামে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ, প্রোটিন এবং ভিটামিন নানাভাবে শরীরের উপকার করে থাকে। কাজু বাদামকে চিকিৎসকরা প্রাকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট নামে ও ডেকে থাকে।
অনেক গবেষণা দেখা গেছে যে নিয়মিত যদি ৩-৪টি কাজু বাদাম খাওয়া যায় তাহলে শরীরে পুষ্টিকর নানা উপাদানের অনেকটাই ঘাটতি দূর হয়ে যায়। তাই জেনে নেওয়া যাক কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা।
- ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন
- হার্ট সমস্যা ও কোলেস্টেরল দূর
- ত্বকের ও চুলের সমস্যা সমাধান
- হাড় শক্ত ও অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমাতে সাহায্য
- ক্যান্সার রোধ
- স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি
- রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ
- হৃদযন্ত্র সবল রাখে
- চোখের জ্যোতি বাড়ায়
- ওজন কমায়
- রক্তরোগ দূর করতে
- ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে
ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ :
ডায়েবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ জাতীয় সমস্যা এখন প্রতিটি মানুষের মাঝে দুশ্চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে চিন্তা করার তেমন কারণ নাই এখন আপনার হাতের কাছেই আছে এর সহজ সমাধান।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে কাজু বাদাম এ রয়েছে প্রোটিন এবং ফাইবারে ভরপুর আর তাই এই কাজু বাদাম নিয়মিত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হয় খুব সহজে ।
কাজু বাদামে বিদ্যমান মিনারেল ও ভিটামিন মানুষের শরীরের গ্লুকোজের সমতা রক্ষা করে ও শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত ৫/৬ টা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে দেখবেন যথেষ্ট উপকার হবে।
কাজু বাদামে পটাসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে এবং সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয় খুব সহজে এতে কাজু বাদাম অনবদ্য ভূমিকা পালন করে।
হার্ট সমস্যা ও কোলেস্টেরল দূর :
এই বাদামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা হার্টকে নানা ধরনের জটিল সমস্যা থেকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই হার্টের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে যাদের তারা প্রতিনিয়ত কাজু বাদাম খেলে অনেক উপকার পেতে পারেন।
কাজু বাদামে আর্জিনিন নামক উপাদান বিদ্যমান রয়েছে যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে হার্টকে অনেক সুস্থ রাখে এবং হার্টের কার্যদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে ওলিসিক নামের এক ধরনের মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা দেহের গুড কোলেস্টেরল এর মাত্রা বাড়িয়ে তুলে এবং ব্যাড কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন নিয়ম মাফিক কাজু বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।ফলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়। তাই অনেক ডায়েটিসিয়ান ও নিউট্রিসিয়ানরা কাজু বাদামের উপকারিতা দেখে কাজু বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ত্বকের ও চুলের সমস্যা সমাধান:
ত্বকের পরিচর্যার জন্য কাজু বাদাম তেল অনেক উপকারক হিসেবে কাজ করে। কাজু বাদাম তেলে রয়েছে সেলেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, দস্তা, আয়রন এবং ফসফরাস। এটি হলো ফাইটোকেমিক্যালস, প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর দুর্দান্ত উৎস। এই বাদামে বিদ্যমান সেলেনিয়াম ত্বক ও ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে থাকে।
কাজু বাদামের স্বাস্থ্যগুন এর পাশাপাশি এই বাদামের তেল মাথায় প্রয়োগে স্বাস্থ্যকর চুল পেতেও সাহায্য করে থাকে। কাজু বাদামে রয়েছে কপার যা শরীরের ভিতরে এমন কিছু এনজাইমের কাজ বৃদ্ধি করে দেয়, যা চুল কে স্বাস্থ্যকর করে চুলের রঙকে ধরে রাখতে সাহায্য করে থাকে।
হাড় শক্ত ও অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমাতে সাহায্য :
কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম , ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান রয়েছে । যে সকল উপাদান গুলো হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি ও হারের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। কাজু বাদাম খেলে অস্টিওআর্থারাইটিসের মতো হাড়ের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
বিভিন্ন গবেষণায় দ্বারা পাওয়া যায় যে, কাজু বাদামে বেশি পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই শরীরের আয়রনের পরিমান কমে গেলে কাজু বাদাম খাওয়া মাত্র দেহের ভেতর আয়রনের ঘাটতি অনেক দূর হয়ে যায়।
কাজু বাদাম খেলে দেহের লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন পরিমাণ বৃদ্ধি হয় তাই অ্যানিমিয়া রোগেরও সমাধান করতে পারে নিয়মিত কাজু বাদাম খাওয়ার অভ্যাস । সেই সাথে কাজু বাদাম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি সাধন করে থাকে খুব তাড়াতাড়ি।
ক্যান্সার রোধ :
ক্যান্সার রোধে কাজু বাদামের উপকারিতা অনেক। বর্তমান সময়ে ক্যান্সার প্রায় ঘরে ঘরে ই পৌঁছে গিয়েছে। আর এই মরণ ব্যাধি প্রতিরোধ করতে কাজুবাদাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
যেখানেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকে, সেখানে ক্যান্সার সেল বৃদ্ধি, বিস্তার হয় না সহজেই। তাই এই মরণ ব্যাধিজনিত সমস্যা সমাধান ও দ্রুত প্রতিরোধ করতে কাজু বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তারে রা।
কাজুবাদামে মধ্যে উপস্থিত থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে, তার পাশাপাশি টিউমার প্রতিরোধ সহায়ক হিসেবে কাজ করে । আর কাজু বাদামে বিদ্যমান প্রম্যান্থোসায়ানিডিন নামের উপাদান ত্বক এর ক্যান্সার রোধ এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি :
শিশু, কিশোর, প্রাপ্তবয়স্ক সকল শিক্ষার্থীদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে ও অতি বয়ষ্কদের স্মৃতিশক্তি ধারন ক্ষমতা রক্ষা করতে ডাক্তাররা কাজু বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে।
কাজু বাদামে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম নার্ভের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। যা মস্তিষ্কের টিস্যু গুলো কার্যশক্তি বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এবং আমাদের ব্রেনের কগনিটিভ ফাংশন এর উন্নতি ঘটায়।
যার ফলে আমাদের বুদ্ধিগুন, স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ বাড়তে শুরু হয়। কাজু বাদামের এমন কার্য ক্ষমতার জন্য কাজুবাদাম কে ব্রেনের পাওয়ার বুস্টার বলা হয়ে থাকে।
রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ :
কাজু বাদাম জিঙ্ক ভাইরাস এর আক্রমণ প্রতিরোধ করে শরীরকে রক্ষা করতে সক্ষম । তাই এমন ইনফেকশনের শিকার হয়ে থাকলে নিয়মিত কাজু বাদাম খেতে পারেন এতে সংক্রামনের হাত থেকে অতি অবশ্যই মুক্তি লাভ করতে পারবেন।
হৃদযন্ত্র সবল রাখে:
হৃদযন্ত্রকে সুস্থ সবল রাখতে কাজু বাদাম খুবই উপকারী। কাজু বাদামে হৃদযন্ত্র সুস্থ করার জন্য উপকারি উপাদান তন্তু, প্রোটিন চর্বি এবং আরজিনিন থাকে, যা হৃদযন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ করে হৃদযন্ত্রকে সবল রাখে। তাই প্রতিদিন কাজু বাদাম খেতে হবে সুস্থ থাকতে।
চোখের জ্যোতি বাড়ায়:
চোখের জ্যোতি অনেক গুরুপূর্ণ আমাদের জন্য। তাই চোখকে বাহিরের আলোক রশ্মির ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে হয়। কাজু বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লুটেন ও জিয়াক্সাথিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা আমাদের চোখকে আলোক রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব হতে সুরক্ষিত রাখে।
রক্তরোগ দূর করতে:
সঠিক পরিমানমত কাজু বাদাম খাওয়া আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। কাজুবাদাম এ তামা ও কপার বিদ্যমান রয়েছে , যা শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করে থাকে। রক্তের মধ্যে কপার এর পরিমাপ কমে গেলে লৌহ স্বল্পতাও দেখা দেয় যা হতে শরীরের রক্তশূন্যতা সৃষ্টি হয়। নিয়মিত কাজু বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়লে এই সমস্যা দূর হয়।
ওজন কমায়:
আমরা যারা শরীরের ওজন কমাতে বা ডায়েট কন্ট্রোল রাখতে চাই, তাহলে আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখা প্রোটিন ও চর্বি জাতীয় অন্যান্য খাবার তুলনামূলক কম রেখে দিয়ে কাজু বাদাম খেতে পারি । আর কাজু বাদামে থাকা প্রোটিন আমাদের শরীরের চর্বির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে এতে শরীরে ওজন সঠিক রাখা বা ডায়েট কন্ট্রোল করে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে :
বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস রোগের প্রকোপ কম বেশি সব ঘরে ঘরে। আর এই ডায়াবেটিস রোগের উপকারী হিসেবে কাজ করে কাজু বাদাম। কাজু বাদাম এ রয়েছে ফাইবার যা রক্তে মিশে থাকা শর্করায় স্পাইক প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং এর ফলে শর্করার মাত্রা অনেক কমে যায় । এর ফলে কাজু বাদাম রক্তে থাকা শর্করার পরিমান কমিয়ে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উপসংহার :
এই ব্লগ পোস্টে কাজু বাদামের উপকারিতা, কাজু বাদামের পুষ্টিগুন, বিষয়গুলি নিয়ে যথাযথ বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
আমাদের এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনারা সামান্য পরিমানও উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের সকল প্রিয়জন যাদের জন্য কাজু বাদাম এর উপকারী সকল বিষয়গুলো জানলে তারা সকলে উপকৃত হবেন তাদের কাছে শেয়ার করবেন।
যদি কাজু বাদামের উপকারিতা নিয়ে আপনাদের মূল্যবান কোন পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। আমাদের পূর্ববর্তী ব্লগ পোস্ট গুলো সম্পর্কে জানতে ভিজিট করতে পারনে ব্লগ একাডেমীতে(Blog Academy) ধন্যবাদ